আজাদের বিলাসবহুল গাড়ির নিয়ে জুলকারনাইনের স্ট্যাটাস

যৃুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

আজাদের বিলাসবহুল গাড়ির নিয়ে জুলকারনাইনের স্ট্যাটাস
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের চলাফেরায় ব্যবহৃত বিলাসবহুল গাড়িগুলো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এর আগে গত বছরের ৫ আগষ্টের পূর্বে আজাদের এই বিলাসবহুল গাড়িগুলো নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা লক্ষ্য করা গেলেও কিছুদিন পরপরই সেই আলোচনা ফের নিশ্চুপে পরিনিত হয়। তা ছাড়া ও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পাত্র এই নজরুল ইসলাম আজাদ নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। পটরিবর্তনের পরবর্তী সময়ে আড়াইহাজার জুড়ে আজাদ ও তার সমর্থক অনেকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে।
প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের তার নিজস্ব ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দাবি করেন, আজাদের ব্যবহৃত একাধিক দামি গাড়ির কোনোটিই তাঁর নিজস্ব নয়। এগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও শোরুমের মালিকানাধীন। এর মধ্যে তিনটি গাড়ি শোরুম বা গ্যারেজের অস্থায়ী নম্বর ব্যবহার করে রাস্তায় চলছে, যা নিয়মবহির্ভূত।
কোন গাড়ি কার নামে? জুলকারনাইনের তথ্যমতে পাওয়া গেছে- ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার গাড়িটি নিবন্ধিত হয়েছে যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস এর নামে। ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার গাড়িটি সাইফ পাওয়ার গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠান সাইফ পোর্ট হোল্ডিংস এর নামে নিবন্ধিত। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) সাইফ পাওয়ার থেকে ৪১.৭৫ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ ও আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী রুকমীলা চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
মার্সিডিজ জি-ওয়াগন গাড়িটি নিবন্ধিত হয়েছে কেমা ট্রেডিং এবং বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হক এমপি এর নামে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি গাড়ি রেজিস্ট্রেশনবিহীন অবস্থায় শোরুমের নম্বর ব্যবহার করে চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রশ্ন উঠছে নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে, একজন রাজনৈতিক নেতা, যিনি দাবি করেন সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত, তিনি কীভাবে কোটি কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
তিনি পোস্টে আরো উল্লেখ করেন, “নেতা মানুষ দামি গাড়ি ব্যবহার করতেই পারেন, তবে প্রশ্ন হলো—এসব গাড়ির প্রকৃত মালিক না হয়েও কেন তিনি ব্যবহার করছেন? আর বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও গাড়ির শোরুমগুলো কেন তাঁকে এসব গাড়ি সরবরাহ করবে?”