না.গঞ্জ ক্লাব-ইউনাইটেড ক্লাব নিয়ে মঈনুদ্দিন আহমদ
একটা সময় হয়তো মদ খাওয়া ব্যক্তিদের ছবিসহ প্রকাশ হতে পারে

যৃুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

একটা সময় হয়তো মদ খাওয়া ব্যক্তিদের ছবিসহ প্রকাশ হতে পারে
চলতি মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি পদপ্রার্থী মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও ইউনাইটেড ক্লাবের মতো স্থানগুলোতে অভিযান করলে বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া যাবে। তিনি মন্তব্য করেন, এসব স্থান মূলত মাদকের আখড়া। জামায়াত নেতা মঈনুদ্দিন এই মন্তব্যের পরপরই উভয় ক্লাব এবং সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ফতুল্লার এনায়েতনগরের ইউনাইটেড ক্লাব কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাইনুদ্দিনের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করে। ক্লাব সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “ইউনাইটেড ক্লাব একটি সামাজিক সংগঠন। এখানে নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমরা কখনো বারের জন্য আবেদন করিনি। যেকোনো সময় কেউ চাইলে ক্লাবটি পরিদর্শন করতে পারেন; তবে এখানে মাদকের কোনো অস্তিত্ব নেই।”
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি এম. সোলায়মান যুগের চিন্তা বলেন, “আমরা মাইনুদ্দিনের মন্তব্যকে হালকাভাবে নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য না করার জন্য তার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামের নেতা মঈনুদ্দিন আহমেদ যুগের চিন্তাকে বলেন, ওই সভায় নারায়ণগঞ্জের এসপি মহোদয় উল্লেখ করেছিলেন যে মাদক আগে নিম্নশ্রেণীর লোকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, এখন তা উচ্চশ্রেণীর মানুষের মধ্যে সাধারণ অভ্যাস হয়ে গেছে। তিনি জানান, তার মন্তব্য মূলত ওই প্রেক্ষাপটেই করা হয়েছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন, পূর্বে তার কাছে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের অডিট রিপোর্ট ছিল, যেখানে উল্লেখ ছিল কত টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। তবে এখন তিনি ক্লাব কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদের বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করবেন না। মঈনুদ্দিন আরও বলেন, একটা সময় হয়তো মদ খাওয়া ব্যক্তিদের ছবিসহ প্রকাশ হতে পারে।” এই ঘটনায় দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, ক্লাবগুলোতে মাদক বা জুয়ার কোনো অস্তিত্ব নেই এবং সামাজিক ও সমাজসেবামূলক কাজের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হয়।