# আমার শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে

আগামী জাতীয় সাংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানানভাবে সদর-বন্দরে জনসম্পৃক্তভাবে সামাজিক কাজে জড়াচ্ছেন মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদ। মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজসহ সামাজিক নানান কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বৃদ্ধপরিকর রয়েছে এই ব্যবসায়ী নেতা। ইতিমধ্যে শহরের পাশাপাশি বন্দর এলাকাতে ও তার পদাচারণা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছেন।

ইতিমধ্যে বন্দরের বিভিন্ন সামাজিক কাজে মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি। এমনকি তার বিএনপি অনুসারী নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সমাজিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই তাকে জনসাধারণের নজরে আনার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তা ছাড়া বর্তমানে বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা একে একে মাসুদের দিকে ঝুঁকতে যাচ্ছেন। তা ছাড়া মহানগর বিএনপির কয়েকজন যুগ্ম আহ্বায়ক, সদস্যসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির পদধারী নেতারা বর্তমানে মাসুদের সমর্থনে কাজ করছেন।

এদিকে গতকাল বন্দরে মাসুদুজ্জামানের আগমনকে ঘিরে বন্দরে তৈরি হয়েছিলো উৎসবের আমেজ। সকাল থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীরা এক একে বন্দর সিরাজদৌল্লাহ ক্লাব মাঠে জড়ো হতে থাকেন। পরবর্তীতে দুপুর দেড় টায় বিশাল গাড়ি বহর যোগে মাসুদুজ্জামান সেখানে উপস্থিত হলেই নেতাকর্মীরা নানান স্লোগানে মুখরিত করেন বন্দরের চারপাশ।

সে সময় তার অনুসারী বিএনপি নেতকার্মীরা নির্বাচনী স্লোগানের সামাজিক কার্যক্রমে আসা অনুষ্ঠানটি, প্রচারণায় রূপ নেই। এদিকে নেতাকর্মীদের ঢলে ও নির্বাচনী স্লোগানে লেজারস এলাকায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে দেখা যায়। এলাকাবাসী অনেকেই মাসুদুজ্জামানকে কাছে পেয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে তার ‘মনের আশা’ পূরণ হোক সেই দোয়া করেন। এ সময় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের লেজারস এলাকবাসীর সাথে মাসদুজ্জামান সাথে কুশল বিনিময় করে সেই এলাকায় নিজ অর্থায়নে একটি পানির পাম্প উদ্বোধন শেষে এলাকাবাসী আশক্ত করেন যে তিনি এলাকার সকল সামাজিক কর্মকাণ্ড মানুষের উপকারে আসে এমন কাজ আমৃত্যু করে যাবেন। 

পরবর্তীতে গতকাল শনিবার (২৮ জুন) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে বন্দর উপজেলার চৌধুরীবাড়ি হাবিবনগরে জামি'আ মাদীনাতুল আবরার হাবিব নগর মাদরাসার হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি সেখানে গেলেই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাকে ফুল ছটিয়ে স্বাগত জানিয়েয়ে স্ট্রেজে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

এ সময় প্রধান অতিথির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষই না‘গঞ্জের উন্নয়ন করবে, বাইরের কোনো ভাড়াটিয়া নেতাদের দরকার নাই। আমরা হাওলাদ করা নেতাদের দিয়ে হাল ধরাতে চাই না। যাদের শিকড় নারায়ণগঞ্জের মাটির গভীরে, যাদের মৃত্যু হলে এই মাটিতে শায়িত হবে, তারাই নারায়ণগঞ্জের কথা বলবে, তারাই নেতৃত্ব দেবে।
তিনি বলেন, আমি নামতে না নামতেই অনেকের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

অথচ আমি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করিনি, এখনো ভাবছি, আলোচনা করছি। এতেই যদি আপনাদের অবস্থা এমন হয়, তাহলে প্রচারণায় নামলে কী হবে বুঝতেই পারছে সবাই। তা ছাড়া আমাকে এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি করায় গত তিনদিন ধরে এই সামাজিক অনুষ্ঠানটিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আমি এই এলাকারই সন্তান। আমি ‘মেইড ইন নারায়ণগঞ্জ’। আমার শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে। সোজাসাপ্টা বলি আপনারা উল্টা পাল্টা বলে চাইলেই আমাকে মাটি চাপা দিতে পারবেন না।

তিনি আরো বলেন, কুরআনের একটি হরফের হাজার ভাগের এক ভাগেরও মূল্য আমার নেই। আমি একজন নগণ্য মানুষ। যাঁরা কুরআনের শিক্ষক, যাঁরা শিশু-কিশোরদের হাফেজ বানাচ্ছেন তাঁদের সামনে আমি তুচ্ছ। এই পবিত্র ফুলদের মাঝে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে যে সম্মান দেখানো হয়েছে, তার জন্য আমি চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকব। যে সমাজে কুরআনের হিফজ, শিক্ষা ও অনুশীলন থাকবে, সে সমাজেই প্রকৃত ন্যায়বিচার, মানবতা ও উন্নয়ন সম্ভব।

তিনি বলেন, এই নারায়ণগঞ্জ আমাদের নিজের জেলা। আমরা এখানকার সন্তান। এখানকার মানুষ, তরুণ সমাজ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান — সবাই মিলে একসাথে কাজ করলেই এই নারায়ণগঞ্জকে আমরা একটি মডেল শহরে পরিণত করতে পারব। উন্নয়নের জন্য বাইরের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, আমি রাজনীতিকে কোনো ব্যক্তিগত লাভ বা লোভের জায়গা থেকে দেখি না। আমার একমাত্র উদ্দেশ্য, এই জেলার মানুষের পাশে থাকা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, বিএনপি নেতা মনির হোসেন সরদার, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন আনু, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, মহানগর বিএনপির সদস্য এড. বিল্লাল হোসেন, ফারুক হোসেন, রিপন, এড. শরিফুল ইসলাম শিপলু, মনোয়ার হোসেন শোখন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম ছক্কু, জেলা জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমানসহ প্রমুখ।

এদিকে গত শনিবার (১৪ জুন) শহরের খানপুরের বরফ কল মাঠে ১৫ হাজার মানুষের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে ইঙ্গিতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি, জামায়াত ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত থাকায় সেখানেই সকলেই তার সাথে একমত পোষন করেন।

এর পর থেকেই সামাজিক নানান কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরেন মাসুুদুজ্জামান। ইতিমধ্যে নগরবাসীর পানির ব্যবস্থা নিরসনের কাজ হাতে নিয়েছে মাসুদুজ্জামান। যাকে ঘিরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গভীর নকলকূপ তৈরির আলোচনা অবহৃত রেখেছেন। তা ছাড়া বর্তমানে আলোচিত এই ব্যবসায়ী নেতার কার্যক্রমে সকল নেতাকর্মীরা যার যার দলের উর্ধ্বে গিয়ে মাসুদুজ্জামানের কাজে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এবং সকল কাজে তাকে সমর্থণ করছেন।