Logo
Logo
×

রাজনীতি

দুই প্রার্থীর প্রচারণায় ধোঁয়াশায় কর্মীরা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

দুই প্রার্থীর প্রচারণায়  ধোঁয়াশায় কর্মীরা

দুই প্রার্থীর প্রচারণায় ধোঁয়াশায় কর্মীরা

Swapno

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। একদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও নিবার্চন করবো না বলা মাসুদুজ্জামান মাসুদ। যিনি দলকে বিতর্কিত করে ফের নির্বাচনে আশার ঘোষণা দিলে ও এই আসনে বিএনপির নতুন মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নিজেকে দাবি করছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।


এদিকে দুইজনই ধানের শীষের প্রার্থী দাবি নির্বাচনী মাঠ গোছাচ্ছেন। ইতিমধ্যে গতকাল একই আসন থেকে দুই মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। তাছাড়া অদল বদলে সংবাদে দলের মনোনীত প্রার্থী নিয়ে মহানগর বিএনপি ও ইউনিট কমিটি নেতারা একেক এক দিক ছুটছে। একই সাথে মাসুদুজ্জামান বলছেন, আমি এখনো বিএনপির প্রার্থী হিসেবেই রয়েছি। অন্যদিকে সাখাওয়াত হোসেন খান বলছেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে ধানের শীষ নিয়ে দুই প্রার্থীই মাঠে রয়েছেন। যাকে ঘিরে দোটানায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।


এ দিকে সাখাওয়াত হোসেন খান জানিয়েছেন, গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দলীয় কার্যালয়ে ডেকে আসনটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বলা হয়েছে বলে জানান এ বিএনপি নেতা। একই সাথে তিনি জানিয়েছেন গতকাল (২০ ডিসেম্বর) “আমাকে দল প্রার্থী হিসেবে প্রশিক্ষণও দিয়েছে। আমিসহ এ প্রশিক্ষণে ১০০ জন প্রার্থী ছিলেন। এর আগে আরও ২০০ জন প্রার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে”। যাকে ঘিরে বর্তমানে সাখাওয়াতকে বরণ করে নিচ্ছেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা। এই খবরে কিছুদিন পূর্বে যারা মাসুদুজ্জামানকে সমর্থন দিয়ে তার পাশে গিয়েছিলেন এদের মধ্যে অনেকেই ফেসবুক স্ট্যাটাসসহ নানাভাবে সাখাওয়াতের সাথে এসে একত্মতা প্রকাশ করছেন। সকলেই বলছেন ‘আলহাদুলিল্লাহ’ দল দেরিতে হলে ও ত্যাগীকে মূল্যায়িত করেছেন।


এদিকে গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে খানপুর বরফকল মাঠ এলাকা থেকে শুরু হয়ে ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার প্রচারপত্র বিতরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। সেখানে তিনি মনোনয়ন নিয়ে তার বক্তব্যে বলেছেন, এই আসনে বিএনপির আরেক প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছে আমি বিষয়টিকে কোনো কোন্দল হিসেবে দেখছি না। হয়তো কোনো একটি ইস্যু তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোথাও থেকে আমি এমন কোনো বার্তা পাইনি। আমি এখনো জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী এবং সেই হিসেবেই কাজ করে যাচ্ছি।


একইভাবে গতকাল শহরের মিশনপাড়া এলাকায় আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগতম জানিয়ে বরণ করে নিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন, “দল আমাকে পরে হলেও কিছুটা মূল্যায়ন করেছে। এমনেই করেনি, এটা আপনাদের জন্য করেছে।


সুতরাং মাঠে থাকবেন, এক সময় আপনাকেও মূল্যায়ন করা হবে। দলের স্বার্থে অনেক কথা হয়তো বলেছি, আপনারা সেটাকে মনে রাখবেন না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। “যত সংশয় থাকুক, দল থেকে আমাকে নারায়ণগঞ্জ-৫ এ নমিনেশন দিয়েছে।  আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমরা সকলে মিলেমিশে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয় করবো। বর্তমানে দুই জনের নানান মন্তব্য দিশেহারা কর্মীরা।একই আসনে দুই প্রার্থী হাতে ধানের শীষের ঝান্ডা একই সাথে নতুন প্রার্থী সাখাওয়াতে ভিড়ছে কর্মী সমর্থকরা।


দলীয় সূত্র জানায়, গত ৩ নভেম্বর প্রথম দফায় বিএনপি সারা দেশে ২৩৭ জনকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেয়। ওই তালিকায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া ম মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম ছিল। তবে তাঁর নাম ঘোষণার পরপরই চার মনোনয়নপ্রত্যাশী ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁর বিপক্ষে মাঠে নামেন। গত (১৫ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম এবং প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল।


দফায় দফায় মাঠে পরিবর্তনের দাবীতে আন্দোলনরত অবস্থায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু মাঠ ছেড়ে মাসুদুজ্জামানকে সমর্থন দিলে শুরু হয় সমর্থন। কিন্তু মাঠে সক্রিয় ছিলেন সাখাওয়াত-কালাম-বাবুল। এরা হাল না ছেড়ে মনোনয়ন চূড়ান্ত পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত নিতে বসে থাকলে ও গত ১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মাসুদুজ্জামান মাসুদ নিরাপত্তা, পারিবারিক চাপসহ পারিপার্শ্বিক কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। বিএনপির একটি সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই এমন ঘোষণা দেওয়ায় দলের নেতারা তাঁর ওপর অসন্তুষ্ট হন। এ সময় তাঁর অনুগত কর্মী ও সমর্থকেরা প্রেস ক্লাবেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তাঁকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অনুরোধ জানান। দুদিন পর (১৮ ডিসেম্বর) মাসুদুজ্জামান আবার নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দেন।


নিজের আগের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মাসুদুজ্জামান বলেনছিলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়ে আমি আমার দল, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্থায়ী কমিটির নেতা–কর্মীদের কষ্ট দিয়েছি। এ জন্য আমি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। আমার আগে আমরা, আমাদের আগে দেশ, ক্ষমতার আগে জনতা, সবার আগে বাংলাদেশ। আজ এই মঞ্চ থেকে আমি ঘোষণা দিচ্ছি—দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তার সঙ্গে একমত থাকব। আমি বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছি এবং নির্বাচনে অংশ নেব ইনশা আল্লাহ।’


এর পরদিনে রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন উঠে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এড. সাখাওয়াত হোসেন খান সেই গুঞ্জন থাকলে ও শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলনে সাখাওয়াত নিজেই দাবী করেন তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী। এদিকে মাসুদুজ্জামান বর্তমানে কিছুটা নিশ্চুপ থাকলে ও সেই ঘোষণায় মাসুদুজ্জামান কর্মীদের জোয়ার ধরে রাখতে ফের মাঠে নেমে পরেন। বর্তমানে কে আসল কে নকল তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তা দ্রুতই কেন্দ্রীয় ঘোষণার মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছেন।


কিন্তু বিএনপির বিগত দিনের রাজপথের সক্রিয় আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দরা সাখাওয়াতের হাতে মনোনয়ন ফিরে আসায় অনেকটাই স্বস্তি¡র নি:শ্বাস ফেলছে। সকলেই বলছেন, রাজপথের ত্যাগ দিয়েই সাখাওয়াত মূল্যায়িত হয়েছে। এদিকে গত (২০ ডিসেম্বর) সাখাওয়াতের হাতে মনোনয়ন এমন সংবাদ প্রচারের পর পরই (সদর-বন্দর) এলাকায় মিষ্টি বিতরণসহ সাখাওয়াতকে ফুলেল মালা দিয়ে সমর্থন দেওয়ার ঢেউ ছুটে পরবর্তীতে সেই ঢেউ সকালে আদালতপাড়ায় লক্ষ্য করা যায়।


পরবর্তীতে মিশনপাড়ায় লক্ষ্য করা যায়। এদিকে বর্তমানে মাসুদুজ্জামানকে সমর্থন দিয়ে ও তার থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন সাখাওয়াতের কাছে। ইতিমধ্যে ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের একাধিক বিএনপির নেতাকর্মীরা সাখাওয়াতকে সমর্থন দিয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এমতা অবস্থায় হঠাৎ মাসুদুজ্জামান মাঠে নামলে কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্ত শুরু হয়। যারা যারা ইতিমধ্যে সাখাওয়াতের সাথে একত্মতা করেছে সকলেই বলছেন, যা খুশি তাই হোক আমরা শেষ পর্যন্ত সাখাওয়াত ভাইয়ের সাথেই থাকবো।


এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছি, এড. সাখাওয়াতের এমন দাবীতে আদালতপাড়ার আইনজীবীসহ মহানগর বিএনপিসহ সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল হয়ে উঠেছেন। কেউ দিচ্ছেন ফুলেল শুভেচ্ছা, কেউ দিচ্ছেন খাওয়াচ্ছেন মিষ্টি। তা ছাড়া মনোনয়ন পেয়েই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সাখাওয়াত হোসেন খান। মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসহ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে কাজ শুরু করেছেন সাখাওয়াত। ইতিমধ্যে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ধারে ধারে যাচ্ছেন তিনি। একই সাথে নেতাকর্মীদের মনোনয়ন পাওয়া সু-খবর দিয়ে করাচ্ছেন মিষ্টি মুখ।


ইতিমধ্যে গত (২০ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড থেকে নিশ্চিত হয়েই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির সাবেক সাংসদ সদস্য আবুল কালামের বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দোয়া চান। কিন্তু সেখানে আবুল কালাম বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়ন সাখাওয়াতকে দেওয়া হলে আমরা তার পক্ষে হয়ে তাকে সমর্থন দিবো। কিন্তু এখনো যেহেতু সব শিউর নয়। সাখাওয়াত সাহেব আপনি একটু কেন্দ্রে জোরদার খবর রাখনে এবং চূড়ান্ত কাগজ পেলেই আমরা আপনার পক্ষে ঝাঁপিয়ে পরবো। এর পরপরই জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বাসভবনে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন সাখাওয়াত।


সেখানে জাকির খান হাসিমুখে সাখাওয়াতকে ফুল দিয়ে ও মিষ্টি মুখ করে তাকে বরণ করে নেন। এর পরপরই আদালতপাড়ায় আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন সাখায়াত এবং সকলের কাছে দোয়া চান। পরবর্তীতে প্রবীন ও পরীক্ষিত আইনজীবী মনোনীত হওয়ায় বিএনপিরপন্থীসহ সাধারণ আইনজীবীরা মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াতকে সমর্থন দেন এবং ফুলেল তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। একই দিনে মিশনপাড়ায় মহানগর বিএনপির প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে মহানগর বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটসহ মহানগর শ্রমিক দল, তাঁতীদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা নারায়নগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াতকে ফুলেল তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন।


পরবর্তীতে সাখাওয়াত হোসেন খান নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ স্থানীয় একাধিক পত্রিকা অফিসে গিয়ে সেই অফিসের সংবাদ কর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করে মত বিনিময় করেন। পরবর্তীতে মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের টানবাজারের অফিসে যান সাখাওয়াত হোসেন খান। সেখানে জোসেফ ফুল ও মিষ্টি মুখ করিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খানকে বরণ করে নেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের নেতা কমরেড সাঈদ আহম্মেদ এর সাথে সাক্ষাৎ করেন সাখাওয়াত হোসেন খান। তা ছাড়া মহানগর বিএনপির বাকি একাধিক সদস্যবৃন্দ।


একই সাথে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে বাসায় বা কাউর অফিসে গিয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করছেন সাখাওয়াত। মনোনয়ন পেয়ে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার যে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। তা ছাড়া ও তিনি সকলকে ধানের শীষের পক্ষে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি কোনো দল তৈরি করি নাই। কোর্টে আমি যখন থাকি তখন অনেকেই আমার কাছে আসে। আমাকে বলে- আমি কাজী মনির ভাইয়ের লোক, আজাদ, মান্নান ও শাহ আলমের লোক। আমি বলি আমার কাছে এগুলোর কোনো মূল্য নেই। আমার কাছে মূল্য হলো- বিএনপির লোকের।


তিনি বলেন, আমার কাছে তারেক রহমানের লোক ও জিয়ার আদর্শের সৈনিকের মূল্য বেশি। সুতরাং আমরা কেউ কোনো ভাইয়ের লোক হতে চাই না। আমি আপনাদেরকে কথা দিতে পারি, আমার কোনো পন্থী থাকবে না। আমি বিএনপির লোক তৈরি করবো।”


তিনি আরো বলেন, “বিএনপিকে সামনে নির্বাচিত করতে হবে। প্রার্থী কে হলো, সেটি বিষয় না। নির্বাচনটি ধানের শীষের। যদি সাখাওয়াতের সৈনিক হন, তাহলে ধানের শীষের উত্তরসূরি নন। আপনাদেরকে জিয়াউর রহমান, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার উত্তরসূরি হতে হবে। তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আমাদের সাথে বিরোধের কারণ- পন্থী। এই পন্থী (বিষয়টি) বাদ দিতে হবে। কোনো পন্থী চলবে না। এক বিন্দুতে বিএনপির সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর মধ্যে কোনোকিছু চলবে না।



উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দলীয় কার্যালয়ে ডেকে আসনটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বলা হয়েছে বলে জানান এ বিএনপি নেতা। একই সাথে তিনি জানিয়েছেন গতকাল (২০ ডিসেম্বর) “আমাকে দল প্রার্থী হিসেবে প্রশিক্ষণও দিয়েছে। আমিসহ এ প্রশিক্ষণে ১০০ জন প্রার্থী ছিলেন। এর আগে আরও ২০০ জন প্রার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে”। যাকে ঘিরে বর্তমানে সাখাওয়াতকে বরণ করে নিচ্ছেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা। এই খবরে কিছুদিন পূর্বে যারা মাসুদুজ্জামানকে সমর্থন দিয়ে তার পাশে গিয়েছিলেন এদের মধ্যে অনেকেই ফেসবুক স্ট্যাটাসসহ নানাভাবে সাখাওয়াতের সাথে এসে একত্মতা প্রকাশ করছেন। সকলেই বলছেন ‘আলহাদুলিল্লাহ’ দল দেরিতে হলে ও ত্যাগীকে মূল্যায়িত করেছেন।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন