মনোনয়ন কেন্দ্রিক রাজনীতিতে ব্যস্ত মহানগর বিএনপি,
সুযোগ নিতে প্রস্তুত সাবেকরা
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
সুযোগ নিতে প্রস্তুত সাবেকরা
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদকে ঘিরে মহানগর বিএনপিতে তৈরি হয়েছে বিভাজন। এদিকে মাসুদুজ্জামান মাঠে নামার আগে থেকেই মহানগর বিএনপির একাংশ, মহানগর যুবদল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল, মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিজের আওতায় নিয়ে এসে শক্তিশালী বলয় করলে ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে পারেনি নিজ আওতায় আনতে কিন্তু সর্বশেষ হঠাৎ (২৭ নভেম্বর) জনসমাবেশকে ঘিরে আচমকা পুরনো ঐক্য ভেঙে মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়।র মূল কারণই হলো মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু সরাসরি মাসুদুজ্জামানকে সমর্থন দেওয়া।
এদিকে বর্তমানে মনোনয়ন কেন্দ্রিক রাজনীতিতে মহানগর বিএনপির দায়িত্বশীলরা। যাকে ঘিরে বর্তমানে বিভক্তি মহানগর বিএনপিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে দায়িত্ব চাইছেন মহানগর বিএনপির সাবেক একাধিক নেতৃবৃন্দ। তা ছাড়া হলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটি.এম কামাল, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুর আলম খোরশেদ। এদিকে বর্তমানে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান আলাদাভাবে ঐক্য করছেন একই সাথে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বর্তমানে মাসুদুজ্জামানকে ঘিরে ব্যস্ত। এদিকে বর্তমানে মহানগর বিএনপির হাল ধরতে নিজেদের শক্তির জাগান দিচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সেই নেতৃবৃন্দরা।
সূত্র বলছে, দলীয় কর্মসূচীতে তাদের একত্রে দেখা গেলেও মনোনীত ও বঞ্চিত গ্রুপিয়ে দুইজনকে দু’ভাগে দেখা যাচ্ছে। যার ফলে তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মী সহ মহানগর থানা উপজেলা ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ডে ফাটল হয়ে পড়েছেন। তা ছাড়া ২০২২ সালের (১৩ সেপ্টেম্বর) এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর যৌথ নেতৃত্বে দীর্ঘ তিন বছর বেশি সময় ধরে এক হাত ধরে রাজপথে সক্রিয় ছিলো মহানগর বিএনপি। এই তিন বছর ভিতরে সাখাওয়াত-টিপু মধ্যে একাধিক বিরোধ দেখা দিলেও মহানগর বিএনপি ব্যানারে একক প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়নি।
এমনকি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেতে সাখাওয়াত-টিপু একই সুরে দেখা গেছে রাজপথে ও দলের হাইকমান্ডে। তা ছাড়া চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপি কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। ওই সময়ে আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপস্থিতিতে মহানগর বিএনপির ব্যানারে যোগদান অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচিত ছিলো।
মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে গত (৩ নভেম্বর) দলের মনোনয়ন পেয়ে চমক দেখিয়েছেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। যাকে ঘিরে বর্তমানে বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা, সদর থানা বিএনপির একাংশ এর বাহিরে ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বর্তমানে মাসুদুজ্জামানের পাশে রয়েছেন। এদিকে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সাংসদ সদস্য এড. আবুল কালাম, মহানগর বিএনপি নেতা আবু জাফর আহম্মেদ বাবুল ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা বর্তমানে আলাদাভাবে বিভক্ত হয়ে রাজনীতিতে রয়েছে।
তা ছাড়া বর্তমানে এই ৪ মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের একটাই কথা যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনকে বাচাঁতে ও এই আসনে বিএনপিকে জয় করতে এই মনোনয়ন পরিবর্তন করতে হবে, সেই দাবী এখনো চাইছেন নেতারা। এদিকে বর্তমানে মহানগর বিএনপির নেতারা মনোনয়ন কেন্দ্রিক রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকায় বর্তমানে মহানগর বিএনপিকে নতুন করে সাজিয়ে নিজেদের আওতায় নিতে চাইছেন মহানগর বিএনপির সাবেক নেতারা। বতর্মানে সেই উদ্দেশ্য মাথায় নিয়েই কাজ করছেন নেতারা।
ইতিমধ্যে সূত্র জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনের পরবর্তীতে মহানগর বিএনপির সাজানো নয়া কমিটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে চায় মহানগর বিএনপি সেই সাবেকরা। বর্তমানে সেই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে হয়েছেন যোগাযোগ এমনটা জানা যাচ্ছে।


