জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায়
মোহাম্মদ আলীর গ্রেফতার চান টিপু
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
মোহাম্মদ আলীর গ্রেফতার চান টিপু
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর গ্রেপ্তার চেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তা ছাড়া এর আগে ও তিনি মোম্মদ আলীকে উদ্দেশ্য করে ফ্যাসিস্ট আ.লীগ-গডফাদার ওসমান পরিবারের দালাল বলে দাবি করেন।
গতকাল মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে মতবিনিময় কালে এই মন্তব্য করেন টিপু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
সভায় তিনি বলেন, সে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করে। গত ২৯ নভেম্বর বক্তাবলীতে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রোগ্রাম করে ঘোষণা দিয়েছে সে নির্বাচন করবে। ও একটা বাটপার, ১৯৭১ সালে ডাকাতির সাথে জড়িত। ওরে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক। প্রত্যেকটা যায়গা থেকে তারে বয়কট করা হোক। যদি আপনারা না করেন তাইলে আমরা বয়কট করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা ৭১ দেখিনাই কিন্তু ২৪ দেখেছি। আন্দোলন সংগ্রাম যে কত কষ্টের তা আমরা জানি।
রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জায়গায় আমরা রাত্রিযাপন করেছি, সেই দিনগুলোর কথা আমরা ভুলবো না। ফ্যাসিস্টের দোসরকে যদি আপনারা প্রশ্রয় দেন, লালন পালন করেন, এর চেয়ে বড় দুঃখের আর কিছু নেই। মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় সংসদের সাথে আলোচনা করে নারায়ণগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে তাকে বাদ দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
ডিসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখবেন, আমরা সকল রাজনৈতিক দল আপনাকে সহযোগিতা করবো। নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখবেন এবং আপনি নিরপেক্ষ থাকবেন এই আশা রাখছি।
তা ছাড়া গতকাল মোহাম্মদ আলীকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে টিপু তার ফেসবুকে লিখেন, গত (০৫ আগষ্ট) ফ্যাসিস্ট আ'লীগ ও খুনী হাসিনার পতনের পরও যার মুখে "জয় বাংলা" শ্লোগান উচ্চারিত হয়,সেই ১/১১ ষড়যন্ত্রকারী ও আহ্বানকারী,বহু অপকর্মের হোতা,তেল পানি ও বহুরূপী এবং বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎকারী,সহজ ও সরল মুক্তিযোদ্ধাদের নিজের স্বার্থে ব্যবহারকারী ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কোন সাহসে ও কোন অপশক্তির ইঙ্গিতে ' স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ও আগামীতে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জননেতা তারেক রহমানের " ছবি এবং ধানের শীষ প্রতীক লাগিয়ে পোষ্টার করে?
তাতে নাঃগঞ্জ জেলা ও মহানগর এবং বিশেষ করে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের কি রক্ত ক্ষরণ হয় না? কারণ বিগত দিনের না.গঞ্জের অপশক্তির ও ওসমান গডফাদারদের সহযোগী ও উপদেষ্টা যে মোহাম্মদ আলীর ডাকে ১/১১ হয়ে , জননেতা তারেক রহমানের মেরুদন্ড ভাঙ্গা হয় এবং মাইনাস ফর্মুলার নামে অহেতুক আপোষহীন নেত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অহেতুক দীর্ঘ দুই বছর জেলে কারাবন্দী থাকতে হয়েছে। সেই বহুরূপী মোহাম্মদ আলী কিভাবে "শহীদ জিয়ার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ও জননেতা তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করে ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে পোস্টার করে?
আমার তো মনে হয় বিশেষ করে ফতুল্লা থানার বিএনপি'র ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বেশী করে রক্ত ক্ষরণ হরণ হওয়া উচিত। যে বহুরূপী ও প্রতারক এবং তেল ও পানি মোহাম্মদ আলী দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের এড়িয়ে চলছে এবং তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আ'লীগ সরকারের প্রশাসনের স্টিমরোলার এবং ফ্যাসিস্ট আ'লীগের বিরোধী আন্দোলনের নেতা ও কর্মীদের নামে মিথ্যা ও গায়েবী মামলার দেওয়ার সহযোগী ছিল এবং নাঃগঞ্জের অপশক্তি ও চিহ্নিত ওসমান পরিবারের গডফাদারদের সকল অপকর্মের ও অত্যাচারের সহযোগী ও উপদেষ্টা ছিল
সে কিভাবে ফ্যাসিস্ট রুপ পরিবর্তন করে হঠাৎ নব্য বিএনপি রুপ ধারণ করতে চায়,তা কি আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত নয়? বহুরূপী মোহাম্মদ আলীর নির্বাচনে নাঃগঞ্জ-৪আসনে ফতুল্লা থানা থেকে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী তো দূরের কথা,তাই আসুন আমরা আমাদের রক্ত ক্ষরণকে আটকিয়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ও খুনী হাসিনার একনিষ্ঠ দালাল এবং নাঃগঞ্জের অপশক্তি ও ওসমান গডফাদারদের একনিষ্ঠ দালাল বহুরূপী,তেল ও পানি এবং বহু অপকর্মের খলনায়ক ও সহযোগী মোহাম্মদ আলীকে সকল সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বর্জন করি ও প্রতিরোধ করি।
আর যদি প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ না করি,তাহলে এই ফ্যাসিস্ট আ'লীগের ও নাঃগঞ্জের ওসমান গডফাদারদের সহযোগী ও উপদেষ্টা, নাঃগঞ্জের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াবে এবং খুনী ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের দেশের পাশ্ববর্তী দেশে থেকে গণতন্ত্রকে হত্যা ও বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সরানোর জন্য অরাজকতা ও আগুন সন্ত্রাস করবে,তা এই বহুরূপী মোহাম্মদ আলী সেই অরাজকতা ও আগুন সন্ত্রাসের সহযোগী ও উপদেষ্টা হয়ে নাঃগঞ্জে ও দেশে অরাজকতা করবে।তাই আমরা নাঃগঞ্জ জেলা, মহানগর ও ফতুল্লা থানা বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদী ও প্রতিরোধ করি। যে সকল ফতুল্লা থানার ও অন্যান্য স্হানের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ফ্যাসিস্ট আ'লীগের ও ওসমান গডফাদারদের দালাল ও সহযোগিকে সমর্থন ও তার পিছে অবৈধ সুবিধার জন্য ঘুরে, ঘুরে করবে তারাও ফ্যাসিস্ট আ'লীগ ও গডফাদারদের দালাল।


