Logo
Logo
×

রাজনীতি

মনোনয়ন দৌড়ে অপ্রতিরোধ্য মাসুদুজ্জামান মাসুদ

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

মনোনয়ন দৌড়ে অপ্রতিরোধ্য মাসুদুজ্জামান মাসুদ

মনোনয়ন দৌড়ে অপ্রতিরোধ্য মাসুদুজ্জামান মাসুদ

Swapno

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছিল। এই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশ কয়েকজন শক্তিশালী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন বেশ জোরেসোরে। কিন্তু শত সমালোচনাতেও নীরব ভূমিকা পালন করেছেন প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।


ধৈর্য্য, বুদ্ধিমত্তা আর সহনশীলতা দিয়ে বিরোধিতাকারীদের তিনি মোকাবেলা করেছেন। কয়েকমাস আগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হলেও ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মাসুদুজ্জামানের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আর তাই এসব বিরোধিতা উপেক্ষা করে তিনি নিজেই বেশ কয়েকবার ছুটে গেছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এড.আবুল কালামের বাসায়, গিয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও  ২০১৬ এর নাসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এড.সাখাওয়াত হোসেন খানের চেম্বারে, এছাড়া মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বাড়িতেও বেশ কয়েকবার মান ভাঙাতে গিয়েছেন।


বিএনপির মনোনায়ন প্রত্যাশীরা একাট্টা হয়ে সমালোচনায় মুখর থাকলেও মাসুদুজ্জামান মাসুদ ছিলেন নীরব। তিনি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের  অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। যার ফলে বন্দর উপজেলা বিএনপি, বন্দর থানা বিএনপি, সদর থানা বিএনপি নেতারা একে একে মাসুদুজ্জামানের পাশে যোগ দিতে শুরু করে। মহানগর যুবদল, কৃষক দল, ছাত্র দলের নেতারা মাসুদুজ্জামানের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। এবার মাসুদুজ্জামানের সবচাইতে বড় সমালোচক মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু  আল ইউসুফ খান টিপু সেই তালিকায় যুক্ত হলেন।


যোগ দিয়েই তিনি প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “মাসুদুজ্জামান মাসুদ বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান, দল এবং নির্যাতিত-ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রতিনিধি। আপনি ভয় পাবেন না। কারা ত্যাগী নেতা, কারা আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত, কারা দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছে এগুলোর খোঁজ রাখতে হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে সবাই কোথায় দাঁড়াবে সেটাও দেখতে হবে।” এড.টিপুর যোগদেয়াকে মাসুদুজ্জামানের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। তারা বলছেন, আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন দৌড়ে মাসুদুজ্জামান মাসুদ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন।


তাদের ধারণা, অল্প সময়ের মধ্যে এই আসনের ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীসহ নাসিকের ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা মাসুদুজ্জামানের পক্ষে মাঠে নামবেন। যার ফলে শহর ও বন্দর এলাকায় মাসুদুজ্জামানের পক্ষে বিএনপির একটি বড় অংশের বিরাট জোয়ার তৈরি হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর এবার স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ নির্বাচনের আয়োজন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যার ফলে এই নির্বাচন কোন দলের প্রার্থীর জন্যই জেতা সহজ  হবেনা। এর মধ্যে দলীয় বিরোধ, মনমালিন্য আর বলয় তৈরি হলে এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সুযোগ নিতে পারে।


এটি বুঝতে পেরেই শত সমালোচনার পরেও কৌশলী ভূমিকা পালন করেছেন মাসুদুজ্জামান। মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব শাহেদ আহম্মেদসহ যুবদলের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে নেতাকর্মীদের একাট্টা করছেন। এছাড়া বহিষ্কার আদেশ থেকে ফেরা বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল, শওকত হাসেন শকু, গোলাম নবী মুরাদ সর্বশেষ মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালেও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে।


ফলে সদর-বন্দরে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে নিজের উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। মহানগর যুবদলের সাবেক আহবায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মহানগর বিএনপি নেতা আবদুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, এড.শরীফুল ইসলাম শিপলুসহ আরো কয়েকজন বিএনপি নেতা মাসুদুজ্জামানের হাতকে শক্তিশালী করছেন। যার ফলে নির্বাচনের আগে চূড়ান্ত মনোনয়ন দৌড়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন