না.গঞ্জে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগ মুহুর্তে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের ডাকা ‘লক ডাউন’ এ সারা দেশ উত্তাল। আজকে আওয়ামীলীগের ডাকা লক ডাউন প্রতিহত করতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেমন মাঠে নেমেছে,তেমনি সরকারের পক্ষ থেকেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ১১ নভেম্বর রাত থেকে আওয়ামীলীগের ডাকা লক ডাউনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নবাসে অগ্নি সংযোগ করে দূর্বৃত্তরা।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগ আটক করা হয়েছে বহু সংখ্যক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানা এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আটক করার খবর পাওয়া গেছে। আজ আওয়ামীলীগের নাশকতা ঠেকাতে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি,জামায়াতে ইসলামী,ইসলামী আন্দোলন,এনসিপির নেতৃবৃন্দ কঠোর অবস্থানে থাকবেন বলেও জানা গেছে।
দীর্ঘ ১ বছরেরও বেশি সময় পর আওয়ামীলীগ সারা দেশে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। ২০২৪ সালের অগাস্টের আন্দোলনের সময় সংঘটিত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়‘ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় কবে হবে, সেটি আজ বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করার কথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের। এই তারিখ নির্ধারণের বিষয়টিকে সামনে রেখেই আওয়ামীলীগ সারাদেশে লক ডাউনের ডাক দিয়েছে।
আওয়ামীলীগের আহুত এই আন্দোলনে জনগনের জানমাল নিরাপত্তা দেয়ার স্বার্থে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মাঠে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে পুলিশ,র্যাব,বর্ডারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরা। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানা এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গদল আওয়ামীলীগের নাশকতা ঠেকাতে খন্ড খন্ড মিছিল করেছে। গত কয়েকদিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে।
পুলিশ বলছে,এসব ঘটনার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অপরদিকে,আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন তারা এ কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেবেন। গত কয়েকদিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে। পুলিশ বলছে, এসব ঘটনার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের দাবী ‘সরকার তাদের মদদপুষ্ট সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এগুলো করাচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপানোর জন্য।’
ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের ডাকা লক ডাউনকে চ্যালেঞ্জ করে এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন,‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এনসিপির এক হাসনাত আবদুল্লাহ এই বাংলাদেশে যথেষ্ট। এটা নিয়ে আমাদের কোনো টেনশন নেই। আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে মরণ হয়ে গিয়েছে। এখন কিছু দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, দেশবাসীর এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই’। হাসিনার ফাঁসি ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল করবে জুলাই ঐক্য’ ।
অপরদিকে আওয়ামীলীগের-এ আন্দোলনকে ঘিরে জনমনে অনেকটা আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও অনেকে মধ্যে উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে তা বাস্তাবায়ন না হলে নির্বাচন নিয়ে আরো জটিলতা সৃষ্টি হবে বলেও মনে করছে অনেকে। আর এ ফসল আওয়ামী লীগ নিজের ঘরে যে কোনো মূল্যে তুলতে চেষ্টা করবেন বলেও অনেকে ধারনা করছেন।
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নাশকতা ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি, জামায়াত ইসলামীসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো। যাতে জনগনের জানমাল নিরাপত্তায় মাঠে থাকবেন সব রাজনৈতিক দল। এমনটিই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য থেকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব দলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে যুবদল বদ্ধ পরিকর। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল সকাল থেকেই রাজপথে থেকে জনগনের জানমাল নিরাপত্তা দিতে মাঠে থাকবে। ফ্যাসিস্টকে এই দেশে আর পূনর্বাসন করতে দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, আওয়ামীলীগের স্বৈরাচারী অবস্থানকে দেশকে রক্ষার মিছিলে গিয়ে নিজের চোখ হারানোর পথে । স্বেরাচারী হাসিনার গুম বাহিনীর দ্বারা গুমও হয়েছিলাম। লক ডাউনে আওয়ামী নাশকতা ঠেকাতে যা যা করনীয় ফতুল্লা থানা বিএনপি রাজপথে থেকে তা প্রতিহত করবে। আওয়ামীলীগকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।


