তাদের আশা পূর্ণ হলো না..
এ জেলায় বিএনপির দুজন বর্ষীয়ান নেতা কে? নেতা, কর্মী ও সমর্থক যে কাউকে এ প্রশ্ন করলে এক বাক্যে তারা উত্তর উত্তর দেবে, সোনারগাঁয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিম ও সদর-বন্দরের এড. আবুল কালাম। বর্ষীয়ান এ দু’নেতার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। যৌবন থেকেই তারা বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে দু’জনই অশীতিপর বৃদ্ধ। দু’জনই জীবণে ৫ বার বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।
এবারও তারা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবং দু’জনই মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও তারা দু’জনেই সুবোধ বালকের মতো তা মেনে নিয়েছেন। এ নিয়ে কোন হা পিত্যেশ বা বিতর্ক সৃষ্টি করেননি।
তবে, বর্ষীয়ান এ দু’নেতার মাঝে দু’একটি অমিলও খুঁজে পাওয়া যায়। অধ্যাপক রেজাউল করিম ৫ বার মনোনয়ন পেয়ে ৪ বার জয়ী হয়েছেন। পক্ষান্তরে, এড. কালাম ৫ বার মনোনয়ন পেয়ে ৩ বার জয়ী হয়েছেন। ৭ম (১৯৯৬) ও ৯ম (২০০৮) সংসদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। অধ্যাপক রেজাউল শুধু মাত্র ৯ম সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। এদিকে, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে এ জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ৫টিতেই বিএনপি জয়ী হলেও এ দুই নির্বাচনের মধ্যবর্তী সপ্তম সংসদ (১৯৯৬) নির্বাচনে বিএনপি এ জেলার চারটি আসনেই পরাজিত হয়েছিল। সেবার একমাত্র সোনারগাঁ আসনেই অধ্যাপক রেজাউল করিম জয়ী হতে পেরেছিলেন।
বয়োবৃদ্ধ এ দুই সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠ জনদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এবার তারা জীবনে শেষ বারের মতো নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এরপর নির্বাচনী রাজনীতিতে ক্ষান্তি দিয়ে দলে তরুণ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়ার মনস্থ করেছিলেন তারা।
কিন্তু ভাগ্য বিরূপ, নাগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে এড. কালামকে টেক্কা দিয়ে বিএনপির সদ্য সদস্যপদ পাওয়া শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান এবং না.গঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ) আসনে বিতর্কিত বিএনপি নেতা ও উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম মান্ন্নান মনোনয়ন দখল করে নিয়েছেন। এ দুই বয়োবৃদ্ধ নেতার শেষ ইচ্ছা শেষ পর্যন্ত অপূর্ণই রয়ে গেল।


