ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা
না.গঞ্জে দিপু-আজাদ-মান্নান-মাসুদ
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
না.গঞ্জে দিপু-আজাদ-মান্নান-মাসুদ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের ৩০০ আসন থেকে ২৩৭টি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি বাদ রেখে বাকি চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আজহরুল ইসলাম মান্নান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ মাসুদুজ্জামান মাসুদ ধানের শীষ প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী।
গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণা দেন।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২৩৭ আসনে আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছি। আমাদের সঙ্গে যারা আন্দোলন করেছেন, তারা যে সমস্ত আসনে আগ্রহী সে সমস্ত আসনে প্রার্থী দেই। আমরা আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী ঘোষণা করবো। এটা আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা, এর মধ্যেই পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে, আমাদের শরিক দলগুলোর সাথে আলোচনা এবং স্থায়ী কমিটি যদি মনে করে কোনো আসনে পরিবর্তন আনবে, সেক্ষেত্রে নিয়ম মেনে পরিবর্তন আনবেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জে) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু । এরা সকলেই পটপরিবর্তনের পরবর্তীতের পরবর্তী সময়ে নতুন স্বাধীনতায় নির্বাচনী আওয়াজ উঠলে এরা সকলেই বিএনপির ধানের শীষের পক্ষে মাঠ ঘাট চষে বেড়িয়েছেন। তা ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নেতাকর্মীরা নিরলস ভূমিকা পালন করেছেন এই রূপগঞ্জের নেতারা।
এদের মধ্যে স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্নস্থানে উন্নয়নের ছোয়া ও দিয়েছেন এই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এদের মধ্যে সকলেরই সাংসদে যাওয়ার যোগ্যতা থাকলে ও দলীয় যোগ্য তালিকায় দিপু ভূঁইয়াকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন গণঅভ্যুত্থানের পর প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিএনপি নতুন মানদণ্ড গ্রহণ করেছে ক্লিন ইমেজ, মাঠে জনসম্পৃক্ততা, সাংগঠনিক অবদান, বিরোধহীন মনোভাব ও ত্যাগী নেতৃত্ব। এই মানদণ্ডে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে (সদর-বন্দর) মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন তিনবারের সংসদ সদস্য আবুল কালাম, মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাসকুদুল আলম খোরশেদ, বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থী চূড়ান্তের তালিকায় নাম এসেছে মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদের নাম।
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও যুব উন্নয়নের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওলিউর রহমান আপেল। এরা সকলেই আন্দোলন সংগ্রামের তুখর ও বর্সিয়ান নেতাদের তালিকায় রয়েছেন।
এদিকে পটপরিবর্তনের আগে ও পরবর্তী সময়ে নারায়ণগঞ্জের ৩ সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁও আসনে ব্যাপক নেতৃত্ব দিয়েছেন এই নেতারা। তা ছাড়া নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে নেমে ও এরা তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিরলস ভূমিকা পালন সহ ভোটারদের ধানের শীষের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান। কিন্তু সকলেই যোগ্য হিসেবে থাকলে ও দলীয় বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তালিকায় এসেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।
একইভাবে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর ও তার ভাতিজা বিএনপির সহঅর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন। কিন্তু আতাউর রহমান আঙ্গুর ও মাহমুদুর রহমানের সুমনের বিরুদ্ধে বিগত দিনে ও যেমন বিতর্ক ছিলো পটপরিবর্তনের পরবর্তীতে ও সেই সমালোচনা থাকলে সেখানে ক্লিন ইমেজ ও বিএনপির দলীয় ঘনিষ্ট আস্থাভাজন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। যাকে ঘিরে এই আসনে বিএনপি থেক যোগ্য হিসেবে সম্ভাব্য তালিকায় নাম এসেছে তার।
তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন বাদ রেখে বাকি চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ফাঁকা আসনে রয়েছেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী শাহ্ আলম, জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই আসনে জোটের প্রার্থীর জন্য ছাড় দেওয়া হবে বলে আলোচনা উঠছে। যাকে ঘিরে এই আসনের দায়িত্ব পেতে পারে জমিয়তে উলামায়ের প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমী। কিছুদিন পূর্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন হেফাজতের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থেকে এই আওয়াজ দিয়ে গেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।


