নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনে বিএনপির আলোচিত দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনো নির্বাচনী এলাকায় পুরো দস্তরে নামছে না। যেটা নিয়ে বিএনপির তৃণমূলের সমর্থক জনমনে এক ভিন্নরূপ সন্দহের দানা বাঁধছে। তবে তাদের সমর্থক এবং নিকট আত্মীয় দ্বারা নির্বাচনী এলাকায় পুরোদস্তরে ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা শোডাউন সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে নিজেকে উক্ত এলাকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে জাহির করলেও অজ্ঞাত কারণে প্রকাশ্যে নির্বাচনী এলাকায় নামছে না প্রার্থীরা।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ)আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম মান্নান সোনারগাঁ কেন্দ্রীক বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচার প্রচারণায় সর্বত্ত আলোচিত থাকলেও সীমানা পরিবর্তনের সাথে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সোনারগাঁয়ের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ যুক্ত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মান্নানের মনোনয়ন প্রত্যাশায় বিপত্তি ঘটে। তড়িগড়ি করে  সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করা মামুন মাহমুদকে কৌশলে তার বাসভবনে নিয়ে এসে একক প্রকার সমর্থন আদায় করেন এবং মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেরই প্রার্থী হিসেবে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এমনটাও নিশ্চিত করেন।

এরপরই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় সোনারগাঁয়ের তাদের সমর্থকরা সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে প্রবেশ করে মামুন বলয়ে থাকা নেতাদের টার্গেট করেন এবং সিদ্ধিরগঞ্জের অপর এক মনোনয়ন প্রত্যাশী গিয়াসউদ্দিন বলয়ের বিরোধীদের টার্গেট করে নয়া বলয় সৃষ্টি করেন মান্নান অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নিয়ে কিন্তু মূলদল এখনো মামুনের নিয়ন্ত্রণে থাকায় মান্নানের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। তবে বলয় সৃষ্টির পরও সিদ্ধিরগঞ্জে মান্নানের নির্বাচনী এলাকায় প্রকাশ্যে প্রচারণায় ফিরতে পারছে না। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সোনারগাঁজুড়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা মামুন মাহমুদ অপরদিকে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সীমানা পরিবর্তনের পূর্ব থেকেই নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এদিকে আজহারুল ইসলাম মান্নান অদৃশ্য কারণে সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জ তার নির্বাচনী এলাকায় প্রকাশ্যে প্রচারণা আসছে না। তবে সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপির সমর্থকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একাধিকবার সোনারগাঁয়ে এবং নির্বাচন কমিশনে সীমানা পরিবর্তনের আপিলে গিয়ে এক প্রকার সিদ্ধিরগঞ্জবাসীকে ভর্ৎসনা করে বক্তব্য রাখায় মূলত সেটা নিয়েই ভীতি কাজ করছে সিদ্ধিরগঞ্জের মাটিতে মান্নানের প্রকাশ্যে প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা) আসনে বিএনপির দুঃসময়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগকৃত শাহ আলম বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এরআগে ঈদ পরবর্তী সময়ে পদত্যাগের পর প্রথমত বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে প্রকাশ্যে তার মতবিনিময় করতে দেখা যায়। যেখানে তিনি বেফাঁস মন্তব্য করেন ক্ষিপ্ত হন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বর্তমান সাবেক নেতা ও সমর্থকরা। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা) আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ)আসনে প্রার্থী হওয়ার পর পরই শাহ আলমের প্রচার প্রচারণার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু প্রচার প্রচারণা চালালোও ব্যানার ফেস্টুন এবং জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে মেডিকেল ক্যাম্প করে সেবামূলক কার্যক্রম চালান তার সমর্থকদের মাধ্যমে অদৃশ্য কারণে প্রকাশ্যে তিনি ফতুল্লা এলাকায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারণায় নামছে। তবে স্থানীয় ভাবে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অধিকাংশরা ধরেই নিয়েছেন আসনটি বিএনপির জোটের প্রার্থীকে ছাড় দিবে। সেই আলোকে তিনি যেকোন মূল্যে এমপি হতে চান। তাই তিনি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার লক্ষ্যে উক্ত আসনে নিশ্চিত করতে চান এর আগে তিনি প্রকাশ্যে নামতে চাচ্ছেন না। অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূলের বিএনপির সমর্থকদের অভিমত তিনি কৌশল হিসেবে ভোটের মাঠে প্রকাশ্যে নামছে প্রথমত তিনি বিএনপির দুঃসময়ে সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া আসনটিতে বিএনপির জোটের প্রার্থী করা হলে সেসময় তিনি ভিন্ন পন্থায় প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী মাঠে নামবেন বলে স্থানীয় তৃণমূলের বিএনপির সমর্থকদের অভিমত।