সাবেক এমপিদের সাথে শক্ত অবস্থানে জামায়াতের প্রার্থী

যৃুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

সাবেক এমপিদের সাথে শক্ত অবস্থানে জামায়াতের প্রার্থী
আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় আলোচনা সভা করে যাচ্ছে রাজনৈতিক দল গুলোর সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা। তবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সনের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছে অন্তবর্তি কালিন সরকার। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে মাঠ ঘাট থেকে শুরু করে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন ড. ইকবাল হোসেন ভূইয়া। বিপরীতে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে মাঠে রয়েছেন। তাছাড়া অন্তবর্তী কালিন সরকারের প্রধান ড.ইউনুস ২০২৬ সনের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হতে পারে বলে ঘোষনা করেন।
এদিকে প্রাচীন বাংলার রাজধানী খ্যাত ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ের ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন এ আসনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ড (সিদ্ধিরগঞ্জ থানা) যুক্ত করেছে। এতে রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ শুরু হয়েছে। সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী মনোনয়নের জন্য মাঠে নেমেছেন। বিএনপিতে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। তালিকায় আছেন সাবেক দুই এমপি। তবে জামায়াত ও এনসিপি’র সম্ভাব্য একক প্রার্থী মাঠ গুছাচ্ছে। আওয়ামী লীগবিহীন মাঠে বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী পুরো নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু পিছিয়ে নেই জামায়াতের একক প্রার্থী ড. ইকবাল হোসেন ভূইয়া। তবে আসনটিতে বিএনপির প্রায় হাফডজন প্রার্থী মনোনয়ন যুদ্ধে মাঠে নেমেছেন।
তারা হলেন- জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. গিয়াসউদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ থানা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওয়ালিউর রহমান আপেল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক। অন্যদিকে, একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যক্ষ ড. ইকবাল হুসাইন ভূঁইয়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি’র শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আসনটিতে ১৯৯১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এখানে একটানা বিএনপি’র সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। ফলে আসনটিকে বিএনপি’র ঘাঁটি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এবং সোনারগাঁ থানাকে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এ আসনে সিদ্ধিরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন এখান থেকে মনোনয়ন পেতে শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। এতে সাবেক দুই এমপি’র সমর্থকরা মনোনয়ন নিয়ে মাঠে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। সেই সাথে তারা মাঠে নেমে দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। ২০০৮ থেকে ২০০৪ সনের মাঝে ডামি, রাতের ভোট নির্বাচনে এই আসনটি জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। তবে পরিবর্তনের হাওয়ায় এই আসনটি এখন বিএনপির প্রার্থীরা উদ্ধার করতে চায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চান। তবে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীও তাদের খালি মাঠে ছেড়ে দিবেন না। আর এজন্য নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে দলটির যোগ্য প্রার্থীকে মনোনীত করেছে। তিনিও মাঠ ঘ্টা থেকে শুরু করে মানুষের মাঝে গিয়ে কথা বলছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন লড়াইয়ে নেমেছেন। কেননা তাদের দল থেকে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় এখান থেকে কে নির্বাচন করবে তা সঠিক ভাবে নিধ্র্রান হয় নাই। এতে করে মনোনয়ন প্রত্যাশীদেরকে আগে প্রার্থীতা নিশ্চিত হতে হচ্ছে। আর এজন্য তারা মাঠে নেমে শক্ত অবস্থান তৈরী করে যাচ্ছেন।
জামায়াতের মনোনীত অধ্যক্ষ ড. ইকবাল হুসাইন ভূঁইয়া বলেন, সোনারগাঁয়ের সব এলাকার এবং সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে আমি সোচ্চার রয়েছি। আমি আশা করি সোনারগাঁওবাসী আমাকে জয়ী করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিবে।
এনসিপি’র সম্ভাব্য প্রার্থী তুহিন মাহমুদ বলেন, সোনারগাঁয়ের মানুষ পরিবর্তন ও অগ্রগতির পথে এগুতে চায়। আমরা জনগণের মতামত শুনেছি এবং তাদের বোঝার চেষ্টা করেছি। সাধারণ মানুষ তরুণ সমাজের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা এবং আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট থাকবো।