
মনোনয়ন নিশ্চিতে দৌড়াদৌড়ি
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বে থাকা নেতারা জেলা বিএনপি নেতৃত্ব প্রত্যাশায় এক প্রকার কাড়াকাড়ি করে সংসদ নির্বাচন আসন্ন হওয়ায় জেলার নেতৃত্ব রেখে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিতে প্রচার প্রচারণার এক দৌড়াদৌড়িতে মেতেছে। সেই সাথে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে আসিয়ান হওয়ার পর থেকেই জেলার নেতৃত্বে থাকা নেতারা তাদের নির্বাচনী বৈতরণী মনোনয়ন নিশ্চিতে দলীয় পদবীর সাথে নির্বাচনী এলাকাসহ অঞ্চল ভিত্তিক সমর্থকদের ব্যবহার করে আসছেন।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ২০২৫ সালের ২৪ মার্চ মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক ও মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়াকে প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় মাশুকুল ইসলাম রাজীব। পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে এই তিনজন নেতাকেই সাইনিং পাওয়ার দেয়া হয়। সাইনিং পাওয়ার আসার পর তাদের নিকট দায়িত্ব ছিল প্রতিটি ইউনিট ভেঙ্গে নবরূপে সাঁজানো যেটা দলীয় প্রধানের নির্দেশনা ছিল সেই সাথে জেলা বিএনপির সম্মেলনের প্রস্তুতি নেয়া। এদিকে এসকল কার্যক্রম থেকে দূরে থেকে জেলা বিএনপির সাইনিং পাওয়ারে থাকা প্রতিটি নেতা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হতে থাকেন। সেই সাথে সংগঠন নিয়ে চোখে পড়ার মত তেমন কার্যক্রম না করলেও নেতৃত্বে পাওয়ার পর থেকেই জেলার নেতারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় বলয় সৃষ্টি করে নির্বাচনী মাঠ পাকাপোক্ত করার মিশনে থাকতে যায়।
জেলা বিএনপির অধীনে ৪টি আসন থাকলেও সেসকল আসনে জেলা বিএনপির নেতাদের কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। পৃথক পৃথক ভাবে জেলার সাইনিং পাওয়ারে থাকা নেতারা তাদের আসন কেন্দ্রীক নির্বাচনী প্রচার বলয় শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রধানত কাজ করেন। সূত্র মতে,নারায়ণগঞ্জ-৩,৪ আসনে প্রার্থী হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেই ছিল তার নির্বাচনী এলাকা ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে ফতুল্লা একক এবং সিদ্ধিরগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সীমানা পরিবর্তন হয়ে চলে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনেও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে দুটি আসনেই প্রার্থী হওয়ার আগে থেকেই তিনি ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় দলীয় কর্মকান্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। জেলা বিএনপির জন্য উল্লেখযোগ্য কোন প্রকার কার্যক্রম করেননি। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া তার নির্বাচনী এলাকা শুধুমাত্র রূপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলা বিএনপির নেতৃত্ব পাওয়ার পরবর্তী সময় থেকেই বর্তমানে তার নির্বাচনী এলাকায় শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যস্তময় সময় পার করছেন। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে থেকে জেলা বিএনপি নিয়ে কোন প্রকার মাথা ব্যাথা নেই বললেই চলে।
যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব জেলা বিএনপির নেতৃত্বে আসার পর পরই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হন। এরপর থেকেই জেলা বিএনপি নিয়ে তেমন সাংগঠনিক কার্যক্রম করেননি। দলীয় কর্মসূচি ছাড়া জেলার পক্ষে সাংগঠনিক গতি বাড়াতে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এদিকে জেলার শীর্ষ তিন নেতা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও আগামী নির্বাচনে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এগুলো নিয়ে ভাবছে জেলা বিএনপি শীর্ষ নেতারা। বর্তমানে শুধুমাত্র নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে লাইমলাইটে এসে দলের দৃষ্টি অর্জনের মাধ্যমে মনোনয়ন নিশ্চিতে মগ্ন রয়েছেন।