Logo
Logo
×

রাজনীতি

মৌন দ্বন্দ্বে রূপগঞ্জ-আড়াইহাজার

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম

মৌন দ্বন্দ্বে রূপগঞ্জ-আড়াইহাজার

মৌন দ্বন্দ্বে রূপগঞ্জ-আড়াইহাজার

Swapno

নির্বাচন কমিশন থেকে নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের চূড়ান্ত পুনর্বিন্যাসের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিন আসনেই বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ব্যাপকভাবে মাঠে থাকায় চলছে নির্বাচন নিয়ে প্রতিযোগীতা। তা ছাড়া একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যেসহ অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা মনোনয়ন দ্বন্দ্বে নারায়ণগঞ্জের ৩টি আসনেই জমে উঠেছে নির্বাচন আমেজ। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ-৫ ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে পুনর্বিস্যাসের পরবর্তীতে শুধু রয়েছে ব্যাপক প্রতিযোগীতা ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে সরব রয়েছে। ইতিমধ্যে এই আসনে যে যে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন সকলেই হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। যাকে ঘিরে এদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের অভিযোগসহ বাড়ছে দ্বন্দ্ব একই সাথে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁও নিয়ে গঠন করায় এই আসনে বিতর্ক মান্নানের বিপক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছে সাবেক সাংসদ সদস্য ব্যাপক পরিশ্রমী আলোচিত আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। যাকে ঘিরে এই আসনে ও ব্যাপক প্রচারণাসহ নতুন ভোটার এবং নতুন মুখের নেতাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে প্রত্যেক নেতারা। এমতা অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির যোগ্য মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে না থাকায় এই আসন নিয় বাড়ছে সংষয়। এই আসন যেতে পারে জোটে। তা ছাড়া ইতিমধ্যে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী এই  আসনে রয়েছে যে যার যার মতো কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু বাকিটা দলের পরে। সেই দিক থেকে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) নীরবতায় ও নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) এই আসনে বিএনপির দুই হেভিওয়েট প্রার্থীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠছে সমালোচনার ঝড়।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ হোসেন টুটুল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন। এদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে তালিকায় রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও কাজী মনিরুজ্জামান আলোচনায় রয়েছে এই দুইজনের মধ্যে যোগ্য একজন বিএনপির মনোনয়ন পাবে। কিন্তু বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের বাকি ৩টি জেলায় নির্বাচনী হাওয়া উঠলে ও এই আসনে নির্বাচন নিয়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না কোন প্রকারের প্রতিযোগীতা। তা ছাড়া দুই নেতার বাহিনীর বিরুদ্ধে গত ৫ আগষ্টের পর রূপগঞ্জে দখল, চাঁদাবাজি, হামলা, মামলা বাণিজ্যেসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী কঠোরভাবে নির্বাচনী প্রতিযোগীতায় নামেনি। হয়নি পাল্টাপাল্টি কোন বক্তব্যে ও প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বের খেলা। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পরবর্তীতে দুই গ্রুপের বাহিনীকে দখল বাণিজ্যেকে ঘিরে কয়েক দফায় সংঘর্ষসহ কমিটি নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, বিক্ষোভ মিছিল থাকলে ও প্রকাশ্যে দিপু-মনির জড়ায়নি কোন দ্বন্দ্বে। তা ছাড়া একই সাথে বাকি মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩ জন এরা ও প্রথমত নির্বাচনী ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামলে ও তারা বর্তমানে উধাও শুধু কিছুদিন পরপর দুই একটি শোডাউন ছাড়া আর তাদের দেখা যায় না মাঠে। যাকে ঘিরে রূপগঞ্জ আগামী নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এখনো পিছিয়ে ও নীরবতায় রয়েছে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) এই আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনায় থাকা কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন দুইজনেই যেন সমালোচনার জন্ম দিচ্ছেন। এই দুইজনকে নিয়েই নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে আলোচনা সমালোচনা অনেক চলছে। তাদের নামে সাথে যুক্ত হয়ে গেছে বিতর্কিত কর্মকান্ড। বিশেষ করে নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এসে নিজেদের বিতর্কমুক্ত রাখতে পারেনি তা ছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এই আসনটিতে আওয়া মী লীগ এবং বিএনপি প্রায় সমানভাবেই নেতৃত্ব নিয়ে  আসছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নির্বাচনগুলোতে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পরবর্তী সময়ে এই আসনে বিএনপির দুই হেভিওয়েট ও আলোচিত নেতা  ইতোমধ্যে অনেক আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি গেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে তারা নিজেদেরকে বিতর্কমুক্ত রাখতে পারেননি । নজরুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে উচ্চবিলাসীতার অভিযোগ উঠেছে। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই শহরজুড়ে দামী গাড়ি হাকিয়ে চলতেন। নেতাকর্মীরা কষ্টে দিন যাপন করলেও সেদিকে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ থাকতো না। ক্ষমতায় না থেকেও দামী গাড়ি হাকানো এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর আরও কয়েকটি দামী গাড়ির মালিক হয়ে যাওয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তার আয়োর উৎস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কিভাবে এত টাকার মালিক হলেন সেসকল বিষয়  নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। এদিকে মাহমুদুর রহমান সুমন আওয়া মী লীগ সরকারের সমযয়ে কোনো মামলার আসামী হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা অনেক নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হলেও মাহমুদুর রহমান সুমন বেশ ভালো অবস্থানেই ছিলেন। তিনি আওয়া মী লীগের সাথে আঁতাত করে রাজনীতি করে আসছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তা ছাড়া তার বিরুদ্ধে সেই আসনের সাবেক আওয়ামী লীগের সাংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুকে পটপরিবর্তনের পরবর্তী সময়ে শেল্টারসহ তার বাসায় আশ্রয় দেওয়া অভিযোগসহ উঠে। একই সাথে এই আজাদ ও সুমনের বাহিনীর বিরুদ্ধে পটপরিবর্তনের পরবর্তী সময়ে দখল বানিজ্যেসহ মামলা বানিজ্যে, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া ইতিমধ্যে আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপির এই দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর গ্রুপের সাথে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তা ছাড়া এই আসনে আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সাংসদ সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুলের বিরুদ্ধে গত ৫ আগষ্টের পরবর্তীতে অভিযোগ না উঠলে ও বিগত দিনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠা সংস্কারপন্থী সেই সিল আবারো গর্জে উঠছে। সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনের পূবেই আড়াইহাজার ব্যাপক সমালোচনায়  জর্জড়িত হয়ে উঠেছে, যাকে ঘিরে ক্লিন ইমেজের অভাবে ভূগছে সাংসদটি। কিন্তু বর্তমানে বিতর্কে থাকা এই নজরুল ইসলাম আজাদ ও মাহমুদুর রহমান সুমনের বাহিরে ও এই আড়াইহাজারে নেই কোন শক্তিশালী বলয়।


Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন