
ধুঁকছে জেলা বিএনপি
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির। কমিটি গঠনের পর থেকেই একের পর এক বিতর্কের মধ্য দিয়ে যাত্রা চলছে সংগঠনটির। যা নিয়ে লোকমুখে নানা আলোচনা-সমালোচনা এবং উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেলে ও আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে এয়োদশ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় বিবেচনায় থাকায় বিশৃঙ্খল এবং দুর্বল তা ছাড়া অনৈক্যে জর্জরিত কোন কমিটিতেই হাত দিচ্ছে না দলীয় হাইকমান্ড। যাকে ঘিরে সংগঠনটি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে রূপ নিচ্ছে। তা ছাড়া চলতি বছরের (২৭ জুলাই) রাজধানীতে জেলা বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তি করার লক্ষ্যে এবং জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো, অভ্যন্তরীন কোন্দল ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চলমান প্রস্তুতি নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে অনলাইনে অংশ নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির তিন শীর্ষ নেতা আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু এবং মাসুকুল ইসলাম রাজিব।
সেখানে জেলা বিএনপিকে কঠোর বার্তা দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিকে কেন্দ্রীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফতুল্লা থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় সোনারগাঁও ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া কথা উঠলে ও আপাতত সেটি না ভাঙ্গার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনার আজ ৪০ দিনেও তার বাস্তবায়ন করতে পারেনি জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ইতিমধ্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি না ভেঙে দ্বন্দ্বে পাত্তা না পেয়ে কমিটির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের দেওয়া কমিটি থেকে তার বলয়ে কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল ইসলাম রতন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লালকে শোকজ করে কমিটি থেকে অব্যহৃতি দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি হয়নি ভাঙা তা ছাড়া যে যে ইউনিয়নকে সভাপতিবিহীন করা হলো সেখানে ও দেওয়া হয়নি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপিকে ভেঙে পূর্ণগঠনের নির্দেশ থাকলে ও সেখানে দিতে পারেনি হাত। যাকে ঘিরে জেলা বিএনপির যোগ্যতা ইতিমধ্যে যাচাই করে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। যাকে ঘিরে বর্তমানে জেলা বিএনপির দুর্বলতা আলোচনা-সমালোচনায় জেলা বিএনপির রাজনীতি।
সূত্র বলছে, এয়োদশ নির্বাচনের বাকি মাত্র ৩ মাস। তা ছাড়া দ্রুত তফসিল ঘোষণা হতে পারে কিন্তু দেশের বর্তমান রাজনীতিতে সবচাইতে বড় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার রাজনীতিতে দুর্বল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছু মাস পূর্বে জেলা বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে কাজে গতি ফেরাতে জেলা বিএনপিকে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট উন্নতিকরণ কমিটি গঠনের পর ও কমিটি গঠনের ৯ মাসেও জেলা বিএনপিকে সাংগঠনিক শক্তি করতে নেই কোন প্রকারের পদক্ষেপ। তা ছাড়া জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়কের প্রেসক্রিপশনে জেলা বিএনপির উন্নতি কমিটি গঠন হলে ও নেতাকর্মীদের নেই দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা। তা ছাড়া জেলার আওতাধীন ১০টি ইউনিট কমিটিই জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের স্বাক্ষরে হলে ও সেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে ভাঙার নির্দেশনা আসলেও না আসায় সেই ইউনিট কমিটিগুলো ভেঙে পূর্ণ গঠন না করায় বর্তমানে জেলা বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি ইউনিট কমিটিসহ ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে হয়ে উঠেছে। তা ছাড়া বর্তমানে ইউনিট কমিটিগুলো ছাড় দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতির উসকানি নিয়ে তাদের বলয়ের বাহিরে থাকা ইউনিয়ন কমিটিগুলো সভাপতিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিশৃঙ্খলার রাজনীতি শুরু হয়েছে। তা ছাড়া বর্তমানে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঐক্যের ঘোষণা দিলে ও অভ্যন্তরীন কোন্দলে সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বলয়ের নেতাকর্মীদের উপরে চাপ প্রয়োগ করছেন বর্তমান আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। ইতিমধ্যে ফতুল্লায় সেই খড়গ চালালে ও সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি ভেঙে ফেলার ঘোষণা থাকলে ও গিয়াস উদ্দিনের হুঙ্কারে সেই কমিটিতে এখনো হাত দিতে পারেনি মামুনপন্থীরা এমনটা জানিয়েছে সূত্র। তা ছাড়া এমনভাবে চললে নির্বাচনের পূর্বে অনৈক্যে জর্জরিত হয়ে পরবে জেলা বিএনপির রাজনীতি। তা ছাড়া বর্তমানে মামুন মাহমুদের প্রভাবের এড়িয়ে ধীরে ধীরে ছোট হতে যাচ্ছে। তার হাতের বাহিরে চলে যাচ্ছে ফতুল্লার বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ। তা ছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ বর্তমানে ১০টি ওয়ার্ডই গিয়াস উদ্দিনের বলয় ভরা। তা ছাড়া আসন পুনর্বিন্যাসের পর (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁও) নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে অন্তভুক্ত হওয়ায় আর ফতুল্লা এককভাবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে যুক্ত হওয়ায় বর্তমানে নির্বাচনের আশা ও ছেড়ে দিয়েছে মামুন মাহমুদ। এদিকে কমিটির প্রায় এক বছর ছুউ ছুই হলে ও ৯০ দিনের মধ্যে ছিলো সম্মেলন করার তারিখ কিন্তু সেটা করে ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ পারেনি তাদের সদস্য সচিব গঠন করতে পারেন। বর্তমানে জেলা বিএনপির দুর্বলতা সকলের সকলের সামনেই ফুঁটে উঠছে। যকে ঘিরে নির্বাচনের আগ মুহুর্ত্বের শেষ পথে হাঁটছে জেলা বিএনপির রাজনীতি।