Logo
Logo
×

রাজনীতি

আশা ছাড়েননি কালাম সমর্থকরা

Icon

লতিফ রানা

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

আশা ছাড়েননি কালাম সমর্থকরা

আশা ছাড়েননি কালাম সমর্থকরা

Swapno


# তাদের হাত ধরেই শহর-বন্দরে ঘটেছে ব্যাপক উন্নয়ন

# আর একটার্ম ক্ষমতায় থাকলে শীতলক্ষ্যা সেতু এখন সচল থাকতো

 

কথায় বলে পুরানো চাল ভাতে বাড়ে। আর সেই আশায়-ই হয়তো আসন্ন ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে নুতন মুখের ভিড়েও দেখা যাচ্ছে পুরানো ও অভিজ্ঞ বিএনপি নেতাদের তৎপরতা। তাইতো এই আসনে এমপি পদে নতুন মুখের ভিড়ে এখনও প্রচারিত হচ্ছে এর আগে বিএনপির মনোননয়ন নিয়ে তিনবার নির্বাচিত হওয়া সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালামের নাম। পারিবারিকভাবেই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকা আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দরে সাধারণ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় এবং এখানকার বেশিরভাগ উন্নয়নের সাথে তার ও তার পরিবারের নাম জড়িয়ে থাকায় বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ে এখনও তার চাহিদা আছে বলেও মনে করা হয়। তাই এখনও বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী এড. আবুল কালাম। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির সাধারণ সমর্থকদের কাছে এখনও ধানের শীষ মানে আবুল কালাম। তাই কালামভক্তরা আসন্ন নির্বাচনে এই আসন থেকে তাকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলে জানা গেছে। এই দলের হয়ে কাজ করতে গিয়ে আবুল কালাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হওয়াসহ অনেক পৈত্রিক সম্পত্তি খুইয়েছেন বলে সমর্থকদের দাবি।

 

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে অংশ নিতে ইচ্ছুকদের তালিকায় বেশি সংখ্যক মুখ দেখা যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে। এখানে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বড় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নেই বর্তমানে এমন ইচ্ছুকের সংখ্যাই বেশি। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পেলে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এমন তালিকায় সর্বশেষ যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন সদ্য বিএনপিতে যোগদান করা শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ, বিএনপির সাবেক তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপি নেতা মাকসুদুল আলশ খোরশেদ। এর বাইরেও বিএনপির অনেক নেতাই সুযোগ পেলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

 

এইবারও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে এড. আবুল কালাম যুগের চিন্তাকে বলেন, বিএনপির সূচনালগ্ন থেকেই আমার পিতা হাজী জালালউদ্দিন এই দলের সাথে সম্পৃক্ত। স্বাধীনতার মহান ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ও তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। সে সময় নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালের ভূমি অধিগ্রহণ থেকে হাসপাতালের জন্য জায়গা দখল করা, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, শহরের গণবিদ্যা নিকেতন, নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল ও জিয়া হল প্রতিষ্ঠা করা, এগুলো সব কিছুই আমার পিতা সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় হয়েছে।

 

তিন মেয়াদের মধ্যে দুটি পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে আপনি কী ধরণের উন্নয়ন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মেয়াদে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের বর্তমান ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি, এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করি। নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার (বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন) জন্য মাধ্যমে সে সময় ৫ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করি। মহিলা কলেজের মাটি ভরাট করে দেয়াল নির্মাণসহ ছাত্রীদের জন্য পরিবহনের জন্য বাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আমি এমপি থাকাকালীন সময় বন্দরের মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কটি পাকা করে যাতায়াতের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বন্দরে কোন কলেজ ছিল না, কদম রসুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। আমি কদম রসুল পৌরসভা তৈরি করার কারণেই আজকে এখানে সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয় হয়েছে। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরি করতে চাইলে জায়গা না পাওয়ায় নিজস্ব জায়গার উপরে এবং আমার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে জায়গা নিয়ে এটা নির্মাণ করি। বন্দরের বিভিন্ন অঞ্চলে আমরা তিতাস গ্যাসের লাইন স্থাপন করেছি। বন্দরে আমরাই প্রথম ডিপ পাম্প স্থাপনের মাধ্যমে পানির সমস্যা লাগবের চেষ্টা করি।

 

তিনি বলেন, আমার দুই বারের মেয়াদে আমরা যতটুকু কাজ করেছি সবগুলোই ছিল বড় বড় কাজ। এগুলো করার ফাঁকে ফাঁকে আমি শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দিয়ে সেতু নির্মাণের বিষয়টিও দলীয় প্রধানের সাথে আলাপ করে কাজ অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিলাম। এমনকি ২০০৬ সালে আমাদের দলীয় চেয়ার পার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ে নিজে এসে হাজীগঞ্জ এলাকায় হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করেছিলেন। নদীর পশ্চিম পারে হাজীগঞ্জ সড়কের সাথে লিংক রোড ও নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-চিটাগাংরোড ব্যবহারের সাথে সংযোগ হতো এবং পশ্চিম পারে গ্র্যান্ডট্র্যাঙ্ক রোড ধরে একদিক দিয়ে কাইকারটেক হয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা দিয়ে কুমিল্লা চিটাগাংয়ের সাথে সংযোগ হতো অপরদিকে মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের সাথে সংযোগ হতো। এর ফলে নারায়ণগঞ্জ শহর ও কাঁচপুরের উপর চাপ অনেকাংশেই কমে যেতো। সে সময় যদি আমরা আর একটি মেয়াদও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম তাহলে বন্দরবাসী এতদিনে সেই স্বপ্নের সেতু দিয়ে এতদিনে যাতায়াত করতে পারতো।

 

সব কিছু মিলিয়ে আসন্ন ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শহর ও বন্দরের সেতুবন্ধনে আবারও বিএনপির ঐতিহ্যের সাথে জড়িত পরিবারটির সদস্য এডভোকেট আবুল কালামের মনোনয়ন খুবই যুক্তিসঙ্গত হবে বলে মনে করেন কালামভক্তরা। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উন্নয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবারও দলের নীতিনির্ধারকরা কালামকে বেছে নিবেন বলে তারা আশাবাদী।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন