নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সীমানা চূড়ান্ত পুনর্বিন্যাসের পর থেকে আসনটি ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে গঠিত হলেও পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে হয়েছে দুটি ইউনিয়ন নতুন যুক্ত হয়ে ফতুল্লা এলাকা নিয়ে। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থীদের  জটিল সমীকরণ সৃষ্ট হয়। কারণ সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের প্রার্থীরা বিপাকে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচনী প্রতিযোগীতায়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। কারণ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি তিন হেভীওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন,মামুন মাহমুদ সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা এরমধ্যে একজন প্রার্থী শাহ আলম নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী। যার কারণে বিএনপি এই দুই প্রার্থীকেই নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) উক্ত আসনেও দেখা যেতে পারে। তবে পুনর্বিন্যাসের পর ইসলামীদলের অন্যতম দুই প্রার্থী জমিয়াতে উলামায়ের প্রার্থী মনির হোসেন কাশেমী,জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী মাও আব্দুল জব্বারের ভৌগলিক বা দলীয় ভাবেও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রভাব পড়ছে না।

তবে বিএনপির জোটের দল হিসেবে জমিয়াতে ওলামায়ের প্রার্থী মনির হোসেন কাশেমীকে আবারও জোটের প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাও কাশেমীকে জোটের প্রার্থী করা হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার জন্য প্রস্তুতি রাখছেন। এদিক দিয়ে জামায়াত ইসলামের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল জব্বার আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে বিএনপি বা জোটের প্রার্থী এবং বিএনপির সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিপরীতে ভোটের মাঠে ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছেন। সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীক এবং বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করেছিলেন মনির হোসেন কাশেমী।

তবে আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি জমিয়াতে উলামায়ের সাথে জোট গঠন করলে জোটের প্রার্থী হিসেবে মনির হোসেন কাশেমীকে ফের বিএনপি থেকে মূল্যায়ন করা হবে বলে বিএনপির সমর্থকরা দাবি করছেন। মনির হোসেন কাশেমী জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির দুজন হেভীওয়েট প্রার্থী আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন,মামুন মাহমুদ সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৪ এর মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনেও তারা শেষতক বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করতে পারেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির হেভীওয়েট সিরিয়াস প্রার্থী শাহ আলম যেকোন মূল্যে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ব্যর্থ হলেও জোটের প্রার্থী দেয়া হলে স্বতন্ত্র নির্বাচনেরও তার প্রস্ততি রয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে ভোটের মাঠে জামায়াত ইসলামের মনোনীত প্রার্থী মাও আব্দুল জব্বার বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বা জোটের প্রার্থী এবং বিএনপি সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও ভোটের মাঠে বৃহৎ ফ্যাক্টর হবেন ভোটের মাঠে মাওলানা আব্দুল জব্বার।