ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর  পুনরায় ফের ওসমানরা নারায়ণগঞ্জে নিজের অবস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীল নকশায় মগ্ন হয়েছেন। তারই প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে বিগত সময়ে ওসমানদের বিভিন্ন ভাবে সক্রিয়তার মাধ্যমে। যেমন: গত কয়েকদিন যাবৎ শামীম ওসমানের নির্দেশে সোনারগাঁ,ফতুল্লা,সিদ্ধিরগঞ্জ,বন্দর এলাকার আওয়ামীলীগের আত্মগোপনে থাকা নেতাদের খুঁজে খুঁজে টেলিগ্রাম গ্রুপে অর্ন্তভুক্ত করিয়ে ষড়যন্ত্রের নীল নকশার রূপরেখা দিচ্ছেন। অপরদিকে সেলিম ওসমান তার ফ্যাক্টরী উইজডমে নিয়মিত বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগের পক্ষে গোপন বৈঠক করে সম্প্রতি একটি গোপন বৈঠক এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ষড়যন্ত্রের গুঞ্জন উঠে।

এদিকে তার ভাতিজা আজমেরী ওসমানকে ৫ই আগস্টের পর ভারতে পলায়ন করেন কিন্তু সেখান থেকে হঠাৎ আচমকা ভিডিও কলে এসে তাদের সমর্থকদের ষড়যন্তের রূপরেখা দেন। এদিকে আজমেরী ওসমানকে ৫ই আগস্টের পূর্বে তার দেখা পাওয়াটাই ছিল দুষ্কর কিন্তু আওয়ামীলীগের পতনের পর সেই আজমেরী ওসমান ভিডিও কলে এসে সমর্থকদের সাথে দেখা দিচ্ছেন। এতে ষ্পষ্ট বুঝা যায় নিশ্চয়ই এবার ওসমানরা নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে বিশাল ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।

সূত্র বলছে, গত ৫ই আগস্টের পর আওয়ামীলীগ পতনের পর ওসমানরা আত্মগোপনে ছিলেন দেশেই। কিন্তু ধীরে ধীরে শামীম ওসমান,আজমেরী ওসমানসহ তাদের ফ্যামলী দেশত্যাগ করতে সক্ষম হলেও সেলিম ওসমান ঢাকাসহ খুলনাতে আত্মগোপনে বসবাস শুরু করেন এরমধ্যে গোপনে তার ফ্যাক্টরীতেও যাতায়ত করতেন। এদিকে শামীম ওসমান দেশত্যাগ করলেও সম্প্রতি দেশজুড়ে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে টেলিগ্রাম গ্রুপ করে সোনারগাঁ,ফতুল্লা,সিদ্ধিরগঞ্জ,বন্দর এলাকার নেতাদের ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা করছেন। এরমধ্যে সোনারগাঁ থেকে শামীম ওসমানের নীল নকশা বাস্তবায়নে নিয়োজিত রয়েছেন সাবেক সাংসদ কায়সার  হাসনাতসহ ইঞ্জি মাসুমরা কাজ করছেন এরমধ্যে কায়সার দেশে অবস্থান করছেন আওয়ামীলীগ পতনের পর থেকেই ইঞ্জি মাসুম সদ্য কারামুক্ত হয়ে কাজ করছেন, ফতুল্লা থেকে মীর সোহেল,মীরু তারা কাজ করছেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে হাজী ইয়াসিন,মজিবুর,তেল চোর আশরাফ কাজ করছে, বন্দর থেকে এমএ রশিদ, সালাম চেয়ারম্যানসহ অনেকেই ছাত্র জনতার আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামী হয়ে দেশেই আত্মগোপনে অবস্থান করে শামীম ওসমানের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বাস্তাবায়নে কাজ করছেন। এদিকে দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে হিন্দু নেতা শিখন সরকারকে কাজে লাগিয়ে ষড়যন্ত্রের নীল নকশার পায়তারা করছেন। এদিকে সেলিম ওসমান দেশে থেকে এখনো নারায়ণগঞ্জে নানা ভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরীর জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এমনকি মাঝে মধ্যে তার মালিকানাধীন ফ্যাক্টরী উইজডমে এসে মিটিং করে যান। এই মাসেও ৫০ লাখ টাকার বাজেটে গোপন মিটিং করার জন্য তৎপর হয়ে রয়েছেন। যদিও বিএনপি জামায়াতে নেতৃবৃন্দ একাধিকবার সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারের দাবী করে আসছেন। কিন্তু প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে আসছেন।

এদিকে সেলিম ওসমান এই দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক ভাওয়াল রিপনকে কাজে লাগাতে তৎপর রয়েছেন। কারণ নারায়ণগঞ্জের অন্যতম হিন্দু এলাকা পালপাড়া নন্দীপাড়াসহ উকিলপাড়ার বড় বড় মন্দিরগুলো নিয়ন্ত্রণ কমিটিগুলোতে তার প্রভাব ছিল। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভিডিও কলে প্রকাশ্যে আজমেরী ওসমান তার সমর্থকদের সাথে কথোপথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আর এই কথোপথনের ভিডিও ভাইরালের পরই রাতেই তার ফেইসবুক পেইজ থেকে একটি পোস্টার পোস্ট করা হয় নির্ভয়ে মাঠে নামুন জনগণ আওয়ামীলীগের সাথে আছে। তবে এই পোস্টারের মাধ্যমে সহজেই অনুমেয় করা যাচ্ছে আজমেরী ভিডিও কলে এসে তার সমর্থকদের সাথে কি মতবিনিময় হচ্ছে নিশ্চয়ই তিনি বর্তমানে চলমান আওয়ামীলীগের গুপ্ত রাজনীতির অংশ হিসেবে তার সমর্থকদের নির্দেশনা দিচ্ছেন আওয়ামীলীগের পক্ষে পোস্টারিং,ঝটিকা মিছিল এবং আন্দোলনের নামে নারায়ণগঞ্জ জুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করা। ৫ই আগস্ট আওয়ামীলীগ পতনের পর দেশত্যাগ করে ভারতে পারি জমান আজমেরী ওসমান।