Logo
Logo
×

রাজনীতি

শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন প্রাপ্তির নানা কৌশল

Icon

যৃুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন  প্রাপ্তির নানা কৌশল

শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন প্রাপ্তির নানা কৌশল

Swapno

নারায়ণগঞ্জ জেলায় পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনে সীমানা পরিবর্তনের পর থেকেই আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র জটিলতা সৃষ্ট হয়। আর এই জটিলতা থেকেই বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতিযোগীতায় ল্যাং মারতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতা এবং সমকক্ষ বিএনপির সাংসদ প্রার্থীদের নিয়ে রেষ্টুরেন্ট এবং হোটেলে গোপন বৈঠক করছেন। তারই অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৩,৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গোপন বৈঠকের খবর প্রতিনিয়ন রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর হচ্ছে। আর এই গোপন বৈঠকের মুখ্য বিষয় হচ্ছে নির্বাচনী এলাকায় পূর্ব নির্ধারিত কৌশল বিএনপির বিতর্কিত মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্য রাজনৈতিকদলগুলোকে রাজনৈতিকভাবে ল্যাং মারা।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনে সীমানা পরিবর্তনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ), নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা) এলাকা নিয়ে গঠিত হওয়ার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের এই দুটি আসনে তীব্র জটিলতা সৃষ্ট হয় কে কোন আসনে নির্বাচন করবে সেই সাথে সিদ্ধান্তহীনতার জটিল এক সমীকরণে পরেন বিশেষ করে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি শুধু ফতুল্লা এলাকা নিয়ে গঠিত হওয়ায় অনেকেই এখানে নির্বাচনের জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আবার অনেকেই ফতুল্লার সাথে থাকা সাবেক এলাকা সিদ্ধিরগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাথে চলে যাওয়ায় অনেকেই নারায়ণগঞ্জ-৩  আসনে জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি বিএনপি থেকে জোটের প্রার্থীর জন্য বরাদ্দের গুঞ্জন রয়েছে। সেই আলোকে পূর্ব পরিকল্পনা প্রণয়ন করছেন বিএনপির প্রার্থীরা জোটের প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র নির্বাচনের জন্য। এদিকে বেশ কয়েকদিন আগে বনানীর একটি রেস্টুরেন্টে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন সোনারগাঁয়ের বিএনপি থেকে এমপি হতে ইচ্ছুক সমপক্ষ বিএনপির সাংসদ প্রার্থীরা। মূলত, সীমানা পরিবর্তনের পর সর্বোচ্চ জটিলতা সৃষ্ট হয় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন নিয়ে কেননা এখানে পূর্বের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে সাথে সীমানা পরিবর্তনের পর নয়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নামও আলোচনায় আসছে যারা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ। তবে মামুন মাহমুদ তার অবস্থান কিছুটা ক্লিয়ার করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির মত বিনিময় সভায় গিয়ে। তবে যারা পূর্ব থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের জন্য জটিল হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি নেয়া। যার ফলে নির্বাচনী প্রতিযোগীতায় ল্যাং মারতে বিএনপির প্রার্থীরা গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নানা প্রকার কৌশল প্রণয়ন করছেন।


Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন