দুই ঝুট ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের নয়া কমিটি!

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

দুই ঝুট ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে ফতুল্লা থানা কৃষক দলের নয়া কমিটি!
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা কৃষক দলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক আলম মিয়ার যৌথ স্বাক্ষরে এ ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে জুয়েল আরমানকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে সুমনকে। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, দুজনই ফতুল্লা এলাকার ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জুয়েল আরমান কাঠেরপুল, রামারবাগ, সেহাচরসহ আশেপাশের এলাকার গার্মেন্টস থেকে ঝুট নিয়ন্ত্রণ করেন। অন্যদিকে সুমন বিসিক এলাকার বেশ কয়েকটি গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন দুই ঝুট ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে কমিটি গঠন করায় কৃষক দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো। শুধু তাই নয়, দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আগের কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বকে নতুন কমিটির সদস্য হিসেবে রাখার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। ফলে সাবেক কমিটির কোনো নেতাকর্মীকে রাখা হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, আগে মানুষ কৃষক দল সম্পর্কে তেমন জানত না। তবে সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে কায়সার রিফাতের নেতৃত্বে কৃষক দল এলাকাজুড়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু জেলা কমিটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর তার অনুসারীদের অগণতান্ত্রিকভাবে মাইনাস করা হয়েছে। এতে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহীন জানান, “সাবেক কমিটির কিছু নেতা ব্যক্তি কেন্দ্রিক রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন, বিভিন্ন পোস্টে বাজে মন্তব্য করেছেন। তাই তাদের রাখা হয়নি।”
অন্যদিকে নতুন কমিটির সদস্য সচিব সুমন বলেন, “ঝুট সংগ্রহ করি ঠিকই, তবে এটা বৈধ ব্যবসা। এছাড়া আন্দোলন-সংগ্রামে আমি সবসময় সক্রিয় ছিলাম। এজন্যই আমাকে মূল্যায়ন করেছে দল।”
এদিকে জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আলম মিয়াকে নিয়েও সমালোচনা চলছে। তার সাথে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর একাধিক ছবি প্রকাশিত হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে তিনি কতটা নিরপেক্ষ।
তৃণমূল নেতারা বলছেন, “যেখানে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদককেই আওয়ামী দোসর বলা হচ্ছে, সেখানে ফতুল্লা থানা কমিটি যোগ্য নেতৃত্বকে কতটা মূল্যায়ন করবে তা সহজেই অনুমেয়।