মান্নানের কাছে মামুনের আত্মসমর্পণ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
-copy-68c69a3272696.jpg)
মান্নানের কাছে মামুনের আত্মসমর্পণ
নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের পর আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে জটিল সমীকরণ সৃষ্ট হয়। আর এই জটিল সমীকরণের অবসান কিছুতেই ঘটছিল না। তবে এই জটিল সমীকরণ সৃষ্ট হয় নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) একীভূত হয়ে একক আসন হলে কারণ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাটি ছিল নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) সংসদীয় আসনে। কিন্তু আসন পুনর্বিন্যাসের পর দেখা দেয় তীব্র জটিলতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থীরা এবং সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা এমন সাংসদ প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচন করছেন কিনা সেই প্রশ্নে সবার আগে আলোচনায় আসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নাম। এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ অপর এক বাসিন্দা সাংসদ প্রার্থী আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন পূর্বে থেকেই নারায়ণগঞ্জ-৩,৪ আসন নিয়ে নির্বাচনী প্রস্ততিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু আসন পুনর্বিন্যাসের পর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী মামুন মাহমুদ এবং নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের প্রার্থীতা নিয়ে জটিলতা সৃষ্ট হয়।
কারণ বিএনপির রাজনীতিতে তারা একে অপরের মিত্র নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) একীভূত হয়ে যাওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা আসন পুনর্বিন্যাসের পর মামুন মাহমুদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছিল নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরবর্তী নির্বাচনী কার্যক্রম। কিন্তু মামুন মাহমুদ সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের আমন্ত্রণে মত বিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তার বক্তব্যের মাধ্যমে কৌশলে এক কথায় আগামী নির্বাচনের জন্য মান্নানকে সমর্থন জানিয়ে দেন। মত বিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বক্তব্যে বলেন, সোনারগাঁ থেকে অনেকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে; আপনি কি নারায়ণগঞ্জ-৩ এ নির্বাচন করবেন? আমি বলছি জানি না। আমি তো নারায়ণগঞ্জ-৪ এ আছি, ৪ এ থাকবো। তাড়াহুড়োর কিছু নাই, যদি মান্নান ভাইকে নমিনেশন দেয় সিদ্বিরগঞ্জে আমি প্রথম সমাবেশ করতে সহযোগিতা করবো। আমি এমপি হতে আসি নাই। আমি চাই মান্নান ভাইও এমপি হোক। আপনারা মান্নান ভাইয়ের সাথে কাজ করেছেন এখনো করবেন। অন্য যারা প্রার্থীও আছে তাদের নেতাকর্মীকে এক টেবিলে ডাকবেন। আমাদের মূল কাজ হলো ধানের শীষকে বিজয়ী করা। ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে সবাইকে ঐক্যদ্ধ থাকতে হবে।
এছাড়া মামুন মাহমুদ তার বক্তব্যের মাধ্যমে আজহারুল ইসলাম মান্নানকে সিদ্ধিরগঞ্জের তার রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং নির্বাচনী প্রচারের জন্য আহ্বান জানান এবং কোন প্রকার সমস্যা সম্মুখীন না হয় সেজন্য তিনি নিজে সঙ্গ দিবেন বলেন প্রতিশ্রুতি দেন। তবে এই মত বিনিময় সভার আগ মুহুর্তে তীব্র আলোচনা সমালোচনা হয় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন মামুন মাহমুদ। এছাড়া মান্নান বলয়ে চলমান ছিল একপ্রকার হতাশা। কেননা মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করলে মান্নান বলয়ে ভাঙন ধরার শঙ্কা ছিল। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের বক্তব্যের প্রকার সোনারগাঁয়ে বিএনপির রাজনীতিতে প্রার্থীতা নিয়ে এক প্রকার সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটল। কারণ নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা) আসন থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।