Logo
Logo
×

রাজনীতি

রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইসলামী দলগুলোর

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইসলামী দলগুলোর

রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইসলামী দলগুলোর

Swapno
বিগত আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর যাবত ইসলামী দলগুলোর তেমনভাবে মাঠের রাজনীতিতে ফিরতে না পাড়ায় অনেকটা কোনঠসা হয়ে ছিলেন। বিশেষ করে জামাতে ইসলামী দলকে কোন ভাবেই মাঠে ময়দানে প্রোগ্রাম করতে দেয় নাই বিগত সময়েয় ক্ষমতাচ্যুত সরকার। গত বছরের ৫ আগষ্ট এই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটার পরে এখন ইসলামী দল গুলো নিজেদের মত মাঠের রাজনীতিতে সভা সমাবেশ করে মানুষের আস্থা অর্জনের পাশা পাশি সাংগঠনিক ভাবে গুছিয়ে নিচ্ছেন। সেই সাথে যার যার অবস্থান থেকে নিজেদের মত করে সভা সমাবেশের মাধ্যমে দলকে শক্তিশ্লাী করছেন। এছাড়া ইসলামী দল গুলোর মনোনীত সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা দলের সাথে নিজেদের জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যাচ্ছেন নানা কর্মকান্ডে। এদিকে গত ৫ আগষ্টের পরে নারায়ণগঞ্জের সবকটি ইসলামী দলের কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। দল গুলো বিভিন্ন থানায় শহরে তাদের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করে তুলতে প্রোগ্রাম করে যাচ্ছে। এছাড়া দলীয় সহযোগি সংগঠনকে চাঙ্গা করে তুলছে। তার মাঝে নারায়ণগঞ্জ জামায়াতে ইসলাম বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে অর্থ নিয়ে। কালিবাজার আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীদের পাশেও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। সেই সাথে সভা সমাবেশের মাধ্যমে সাংগঠনিক ভাবেও শক্তিশালী হচ্ছে। তাছাড়া সদ্য ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেলে ভিপি,জি এস, এজি এস পদে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে পুরো দেশে নতুন ইতিহাস তৈরী করেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিকদের মাঝে ব্যাপক সারা ফেলেছে। অন্যদিকে বিগত সাড়ে ১৫ বছরে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির মাঠে নামতে না পাড়ায় দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারে নাই। এখন কোন বাধা না থাকায় দলটি দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে কর্মীর্দে সক্রিয় করে তুলছে। মহানগর জামায়াতের আমির হিসেবে দক্ষতার সাথে দলকে পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মাওলানা আবদুল জব্বার। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে জামায়াত থেকে মনোনীত হয়ে মাঠে ময়দানে হাটে ঘাটে মসজিদ সহ ঘর বাড়িয়ে গিয়ে মানুষের ধারে ধারে যাচ্ছেন। তাছাড়া জেল জুলুম নির্যাতনের পরেও বিভিন্ন ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জ হেফাজতে ইসলাম সক্রিয় ছিলেন। সম্প্রতি গত বছরের ৫ আগষ্টের পরে নারায়ণঞ্জ জেলা মহানগর হেফাজতে ইসলামের কমিটি ঘোষনার মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন মনির হোসেন কাসেমী, মহানগর হেফজতে ইসলামের সভাপতি হন মাওলানার হারুনুর রশিদ,সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মীর আহম্মদ উল্লা ফুয়াদ। এই কমিটি ঘোষনার আগে মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ দিন জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে নেতৃত্ব দিয়েছে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। অপরদিকে জেলায় সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছে মাওলানা আব্দুল আউয়াল। সম্প্রতি ৫ আগষ্টের পরে তাদের মাঝে দুরত্ব তৈরী হওয়ায় মাওলানা আব্দুল আউয়ালকে জেলার উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়। আর মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানকে জেলা হেফাজতের সহ সভাপতি হিসেবে রাখা হয়। তারা কাদিয়ানীদের নিষিদ্ধ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। এখন ৫ আগষ্টের পরে মনির হোসেন কাসেমীকে নিয়ে নতুন ভাবে আরও শক্তিশালী হওয়ার জন্য কর্মীদের নিয়ে সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন। এছাড়া মনির হোসেন কাসেমী ২০১৮ সনের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে শামীম ওসমানের বিপক্ষে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে পরাজীত হন । অভিযোগ রয়েছে তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে নির্বাচনের মাঠে ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে তখন। আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপির সাথে জোট গঠনের মাধ্যমে এখান থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার জন্য মাঠে নেমে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জ ইসলামী আন্দোলনও ৫ আগষ্টের পরে থানা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা সমাবেশ করে নিজেদের দলকে শক্তিশালী করছেন। সেই সাথে বাস ভাড়া কমানো সহ তারাও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম নিয়ে মানুষের কাছে তাদের দলের অবস্থান তুলে ধরছেন। দলকে শক্তিশালি করার জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রমেও তারা কোন অংশে পিছিয়ে নেই। ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমে প্রচারনা চালাচ্ছেন। এখন থেকে মানুষের কাচে যাচ্ছেন। তাদের কথা শুনে তা সমাধান করার জন্য কাজ করছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর খেলাফত মজলিশও তাদের মত করে থানা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিধি সম্মেলন করে নিজেদের দলকে শক্তিশালী করে তুলছেন। তাদের মত করে সাংগঠনিক ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠছেন। খেলাফত মজলিশ নেতৃত্বে রয়েছেন মহানগর সভাপতি ডাঃ শরীফ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ, খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। খেলাফত মজলিশ থেকে মনোনীত হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচন প্রার্থী হিসেবে এবি এম সিরাজুল মামুন প্রচারনা চালাচ্ছেন। কিন্তু বিগত সকারের আমলে তারা কেউই প্রকাশ্যে বড় আকারে সভা সমাবেশ করতে পারে নাই। সভা করতে গেলেও তাদেরকে প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়া কথা বলে তা আর করতে দেয়া হত না। কিন্তু ৫ আগষ্টের পরে প্রতিটি ইসলামী দলই নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য সভা সমাবেশ করে নেতাকর্মীদের সক্রিয় করে তুলছেন। মহানগর হেফাজতে ইসলামের সহ সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, দুর্নীতি সহ জুলুম-নিপীড়ন স্থায়ী নির্মূলে আমরাও আগেও মাঠে ছিলাম এখনো আছি। তাছাড়া দেশের আমূল সংস্কার প্রয়োজন একটি ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আমরা চাই সকল অনাচার চিরতরে দূরীভূত হয়ে যাক। সামাজিক সুবিচার নিশ্চিতে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআন সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমার আদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে সদর্স সংগ্রহ করছে। একই সাথে বিগত সরকারের আমলে মানুষ যতটা নির্যাতিত ছিল তার পুনরাবৃত্তি যেন ঘটে তার জন্য মানুষের কাছে দাওয়াত পৌছানো হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণ সমাবেশ চলছে, যাতে করে মানুষ সহজে আমাদের দাওয়াত পায়।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন