বনিবনার অভাবে সময় ক্ষেপণেও ব্যর্থ
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক এবং সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে সতর্কীরণ করে ৭দিনের মধ্যে জেলা যুবদলের ৫১সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণ কমিটি করার নির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্রীয় যুবদল থেকে বিবৃতি দিলেও ৭দিনে ব্যর্থ হয়ে ফের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন থেকে পরবর্তীতে আরও ৭দিনের সময় প্রার্থনা করে সেই ৭দিন অতিক্রম করে প্রায় ১৪দিনেও পারলেন না নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির জট খুলতে।
এর প্রধান কারণ হিসেবে জেলা যুবদলের নেতারা দায়ী করছেন জেলা যুবদলের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক এবং সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির সমন্বয়হীনতা। তাদের সমন্বয়হীনতার প্রভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করার মত হুশিয়ারীকে পাত্তা দিচ্ছেন না। যার ফলে এখনো একীভূত হয়ে সাদেক-রনি ৫১সদস্য বিশিষ্ট খসড়া কমিটি কেন্দ্রে জমা দিতে পারেনি।
সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণ আহ্বায়ক কমিটি অর্থাৎ বর্তমান নেতৃত্বে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক এবং সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব ব্যতীত জেলা যুবদলের ৪৮জন নেতা অর্ন্তভুক্তর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হবে।
যেখানে আরও ১৫-২০ মত যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ২০-৩০জনকে সদস্য করে কমিটি পূর্ণ আহ্বায়ক কমিটি হবে। কিন্তু এই ৫১সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির খসড়া কমিটি গঠনে কমিটির ২বছরে মেয়াদেও সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক এবং সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে সতর্ক করে কেন্দ্রীয় নেতারা সতর্কীরণ বিজ্ঞপ্তিতে সাংগঠনিক সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে বলে বার্তা দেন।
কিন্তু সতর্কের ৭দিনেও সমন্বয় করে খসড়া কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়ে কেন্দ্র থেকে আরও ৭দিনের সময় মঞ্জুর করেন সাদেক-রনি। এভাবে প্রায় ১৪দিন টানা দ্বিতীয়বারের মত কেন্দ্রীয় নির্দেশনাকে এড়িয়ে গিয়ে ৫১সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের খসড়া কমিটি সমন্বয় করে কেন্দ্রে জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন সাদেক-রনি। এখনো তারা পৃথক পৃথক ভাবে ৫১সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণ করতে বণিবনা জেলার শীর্ষ দুই পছন্দের নেতাদের পদায়িত করতে দরকষাকষির মত একটি অবস্থা চলমান রয়েছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের বিতর্কিত নেতা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব তার পিতা আজহারুল ইসলাম মান্নানের অর্থের প্রভাবে পূর্ণ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাইনিং পাওয়ারে আসতে চাচ্ছেন। এমনকি তার কর্মী সমর্থকদের মধ্য থেকে বেশকয়েকজনকে যোগ্য না থাকা সত্ত্বে জেলা যুবদলের কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করতে সজীবের রাজনৈতিক ডোনার চরমনোই মাসুদ কথিত যুবদল নেতা এবং কথিত যুবদল নেতা বিএম ডালিদের মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করে তাদের পদায়িত সহ তার পছন্দের নেতাদের জেলায় ঠাঁই দিতে দেন দরবার করে যাচ্ছেন।
এদিকে জেলার শীর্ষ দুই নেতা সাদেক-রনি বলয় ভিত্তিক রাজনীতিতে জড়িয়ে থাকায় বলয় প্রধানের রাজনীতিকে প্রধান্য দিয়ে জেলা যুবদলের কমিটিতে নেতা নির্বাচনের মিশনে রয়েছেন। যার কারণে বলয় প্রধানদের নির্দেশনাকে প্রধান্য দিয়ে নেতা নির্বাচিত করতে ৫১সদস্য বিশিষ্ট একটি খসড়া কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনার পর ৭-১৪দিনেও পৃথক পৃথক ভাবে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় থাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সতর্কীরণ বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিলেন তাদের এই নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাংগঠনিক সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবে অর্থাৎ কমিটি বিলুপ্ত করার মতও সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
জেলা যুবদলের নেতাদের দৃষ্টিতে বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে থাকা সাদেক-রনি ২৩জুলাই কেন্দ্রীয় নেতাদের সতর্কের পর ৭দিন সময় দিলেও এর আগে কমিটি পূর্ণ করতে না পারার ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতার হস্তক্ষেপ করে আরও ৭দিন সময় চেয়েও তারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে ৫১সদস্য বিশিষ্ট খসড়া জেলা যুবদলের কমিটি গঠনে ফের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। কারণ তারা এখনোও জেলা যুবদলের কমিটি এখনো পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রে জমা দিতে পারেনি। যার ফলে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের কমিটিতে তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।


