Logo
Logo
×

রাজনীতি

নির্বাচনের আগেই কোনঠাসা জেলার চার সংগঠন

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

নির্বাচনের আগেই কোনঠাসা জেলার চার সংগঠন

নির্বাচনের আগেই কোনঠাসা জেলার চার সংগঠন

Swapno



দীর্ঘ ১৭ বছর পর মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ পেয়েছে বিএনপি। বিগত আওয়ামী লীগ আমলে মামলা-হামলার নির্যাতনে বিএনপির অঙ্গসংগঠন গোছাতে না পারলে ও পটপরিবর্তনের পর দল নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে শুরু করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। কিন্তু তখনই আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে অনঐক্য ও দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পরলে সেই কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি হয়।


যা নিয়ে ইতিমধ্যে আধিপত্য বিস্তারসহ অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে বিএনপির কয়েক গ্রুপের বহু কর্মী আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া জেলা কৃষকদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটির নেতারাই একে অপরের বিরুদ্ধে দফায় দফায় মানববন্ধনসহ সংবাদ সম্মেলন করেন। তা ছাড়া জেলা যুবদলকে ব্যর্থ হিসেবে প্রমান দিয়ে দ্রুত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের লক্ষে ৭ দিনের সময় বেঁধে কঠোর হুঁশিয়ারী দিয়েছেন


কেন্দ্রীয় যুবদল। অন্যদিকে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলবিহীন নারায়ণগঞ্জ। যাকে ঘিরে ছাত্রদল থেকে আস্থা হারাচ্ছে নেতাকর্মীরা এমনকি ছাত্রদল নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন যুবদলে।


সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দেড় মাস পর এবার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে ফিরার কথা থাকলে ও ইতিমধ্যে কোনঠাসা হয়ে পরছেন জেলা বিএনপির সংগঠনগুলো। এদিকে প্রথম দফায় যেসব কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিগত আন্দোলনে নিস্কিয়তা, সাংগঠনিক অদক্ষতা ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পেয়েছে সেসব কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে বা সেখানে পূর্ণাঙ্গ কমিটির মাধ্যমে রদ-বদল আসার সম্ভবনা রয়েছে নির্বাচনের আগেই।


এদিকে গত বছরের (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ১০ মাসে কোন নেতার উপরে আস্থা রেখে দেওয়া হয়নি ছাত্রদলের কমিটি। তা ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পূর্বেই জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির নতুনভাবে গঠন করা হয়।


কিন্তু দীর্ঘ ১৯ মাসেই টানাপোড়ন অবস্থায় মহানগর যুবদল সমন্বয়ে কমিটি দিতে পারলে ও জেলা যুবদল ২২ মাসে ও দিতে পারেনি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। যাকে ঘিরে ইতিমধ্যে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদল। তা ছাড়া ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কাউর সাথে নেই কাউর ঐক্য।


কিন্তু দফায় দফায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা কেন্দ্র দিলে ও কমিটি সদস্য সচিব ছেলের চিকিৎসার স্বার্থে দেশের বাহিরে অবস্থান করায় কেন্দ্রীয় যুবদলের নিকট ১ মাস সময় চেয়েছে বলে ও জানা গেছে। একই সাথে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদল কমিটি গঠনের পর থেকেই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী থাকলে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের চলছে বিভক্তের রাজনীতি। আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কারো সাথে নেই কারো এক মত।


জেলা যুবদলের মতো জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও দলীয় কর্মসূচি পালন করেন দুই ব্যানারে। যা নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। এদিকে বর্তমানে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে উভয়পক্ষই নিজেদের দলের আহ্বায়ক-সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে। যার ফল হিসেবে আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল শোকজ ও করেছেন।


তা ছাড়া জেলা কৃষকদলের রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎই নাচকীয় কর্মকাণ্ডের কারণে আগষ্টের পরপরই কমিটি ভেঙে দিয়ে নয়া কমিটির অনুমোদন দিলে সেই কমিটির নেতাকর্মীরা বর্তমানে দুইভাবে বিভক্ত হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে একই দলের নেতাকর্মীদের আওয়ামী দোসর বানিয়ে নানা কর্মকাণ্ড করছেন।


ইতিমধ্যে কয়েক দফায় একে অপরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলন পালন করতে লক্ষ্য করা যায়। এদিকে বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বার বার সকল সংগঠনে ঐক্য নিয়ে এসে সাধারণ জনগণকে নির্বাচনের দিকে ডাকার নির্দেশনা দিলে ও বর্তমানে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপির একে অপরের শত্রু হয়ে উঠেছে প্রায় যাকে ঘিরে হচ্ছে গ্রুপিং বাড়ছে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে অনঐক্য।


সূত্র আরো বলছে, গত ২০২৩ সালের (২৯ আগষ্ট) জেলা যুবদলের ৩ সদস্য বিশিষ্ট করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হলে ও নেই সংগঠনে কোন ঐক্য। সংগঠনটি ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে আছেন আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক এক বলয়, সদস্য সচিব মশিউর রহমান এক বলয়, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব এক বলয়। তারা কেউ এক সাথে জেলা যুবদলের এক ব্যানারে পোগ্রাম করেন না। যাকে ঘিরে বর্তমানে ছন্নছাড়া জেলা যুবদল।


২০২৩ সালের (২৯ আগষ্ট) জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩ সদস্য বিশিষ্ট করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবকে কেউ মেনে নেয়নি যাকে ঘিরে তিনি আলাদা ও একই সাথে সদস্য সচিব ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক একদিকে যাকে ঘিরে নেউ কোন ঐক্য যার কারণে হয়নি কোন ইউনিট কমিটি এমনকি নিজেদের কমিটি  করেত পারেনি পূর্ণাঙ্গ। বর্তমানে এই দুই সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেউ এখনো এক টেবিলে বসে সাংগঠনিক কোন কর্মকাণ্ডে নেই কেউ।


যে সুবাদে বহু সাবেক নেতারা কোন কমিটি থাকায় নিজ নিজ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন বা থানায় সাবেক পদ বিক্রি করে দখল বাণিজ্যে চলমান। গত (৯ ফেব্রুয়ারি) জেলা কৃষকদলের কমিটি গঠনের পর থেকেই ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের রাজনীতি যাকে ঘিরে বর্তমানে কৃষকদলে দ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে।


তা ছাড়া দীর্ঘ ৯ মাসে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদলে কোন কমিটি না থাকায় কোনঠাসা ছাত্রদল নেতারা বর্তমানে সবাই নেতা হিসেবে নিজেকে জাগির করছেন আবার অনেকেই যোগ দিচেছন যুবদলে। এদিকে বতর্মানে নির্বাচনী হওয়াতে জেলার এই গুরুত্বপূর্ণ ৪ অঙ্গসংগঠনকে শক্তিশালী করতে সাংগঠনিকভাবে কেন্দ্রীয় একশ্যান প্রয়োজন বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতারা।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন