বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, নতুন স্বাধীনতা পাওয়ার পর যেই অবস্থা ছিলো, এখন কিন্তু সেই অবস্থা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দিনদিন বেড়েই চলছে। সেই দ্রব্যমূল্য একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখার জন্য, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেই অবনতি তা প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে যেনো অন্তত স্বস্তির অবস্থায় আসে, বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং দ্রুত নির্বাচন ঘোষণা করার দাবিতে এই জনসভা। এই জনসভাকে আপনারা সকলে মিলে মহাসমাবেশে পরিনত করেছেন। 

সংগ্রামী সরকার বলেন বা অন্তবর্তীকালীন সরকার বলেন, যে সংস্কার নিয়ে কথা চলছে, এই সংস্কার সম্পর্কে আমাদের জননেতা তারেক রহমান কবে কথা বলেছেন আপনারা সবাই আশা করি জানেন। আজকে ৩ বছর হয়ে গেলো তিনি ৩১দফা ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের রাষ্ট্রকাঠামো এবং সামগ্রিক সংস্কারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। গতকাল জেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  আজাদ আরো বলেন, এই সরকারকে বলতে চাই সংস্কারের নামে সময় নষ্ট করা বন্ধ করেন, এদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায়। 

নিজেদের ভোট নিজেরা দিয়ে নিজেদের পছন্দমতো নেতা নির্বাচিত করে তাদেরকে দেখতে চান। আপনাদের মান-সম্মান থাকতে থাকতেই আপনারা নির্বাচনের ঘোষণা করুন। এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে যিনি ১৭ বছর এদেশকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলো, জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাধারন মানুষ রাজপথে থেকে কিভাবে খুনি ও ফ্যসিস্ট হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে, আপনারা তা দেখেছেন। আপনারা এর থেকে শিক্ষা নিয়ে অতি দ্রুত একটি নির্বাচনের ঘোষণা করেন। 

এদেশের মানুষ জননেতা তারেক রহমানকে ভালোবাসে এবং তার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে থেকেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন ২মাসের ব্যবধানে হয়নি। ১৭ বছর ধরে জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম চলেছে। সেই ১৭ বছরের আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটেছে। এর শেষ ধাপ হিসেবে ছিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন।