Logo
Logo
×

রাজনীতি

ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ওসমান সাম্রাজ্যের অপরাধীরা

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ওসমান সাম্রাজ্যের অপরাধীরা

ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ওসমান সাম্রাজ্যের অপরাধীরা

Swapno

২০২৪ সনের ৫ আগষ্ট বৈষম বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে পরে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে শাসন করা আওয়ামী লীগের পতন দেখেছে মানুষ। একই সাথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেরে ভারতে আশ্রয় নেন। সেই সাথে দীর্ঘ দিনের একচেটিয়া শাসন-শোষন, নিপীড়ণ,অত্যাচার জেল জুলুম,অন্যায় অবিচারের এক যুগের বেশি সময় ধরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে একচেটিয়া শাসন এবং শোষন করেছে শামীম ওসমান সহ পুরো ওসমান পরিবারের পতন ঘটেছে। যাদেরকে গডফাদার, ভন্ডামী, বিশ্ববেহায়া সহ বিভিন্ন উপাদিতে আখ্যায়িত করেছে নগরের রাজনৈতিক বোদ্ধমহল। ইতোমধ্যে ওসমান সম্রাজ্যের সদস্য হত্যা মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে। হত্যার হুলিয়া নিয়ে দেশ ছাড়তে না পারলেও পালিয়ে বেরাচ্ছেন ওসমান সম্রাজ্যের অনুসারীরা। তাদেরকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে নাই প্রশাসন।



এেিদক ওসমান পরিবারের অন্যতম সদস্য সারাদেশে গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমান, তার বড় ভাই সেলিম ওসমান তাদের ভাতিঝা আজমেরী ওসমান মিলে নারায়ণগঞ্জে বিগত ১৬ বছরে বিশাল এক ওসমানীয় সম্রাজ্য গড়ে তুলেন। তাদের এই সম্রাজ্য দিয়ে শহরে আনাচে কানাচে চাদাঁবাজি, টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণ করেছন।



গত বছরের ৫ আগষ্টে শেখ হাসিনার পতনের পরে এক মুুহুর্তে  ওসমানদের সম্রাজ্য ভেঙ্গে যায়। গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমান দরের মুরীদরা নানা অপকর্মে কারনে তাদের নামে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলা হওয়ায় চোরের মত পালিয়ে বেড়চ্ছে।



শামীম ওসমান যাদের দিয়ে তার সম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তাদের ফেলে রেখে রাতের আধারে পালিয়ে গেছেন। তিনি তার মুরীদানার কাছে পীর সাহেব হয়েও তাদের খোঁজ নেয়ার জন্য মনে করেন নাই। কথায় আছে নিজে বাচলে বাপের নাম তার বেলায়ও তাই হয়েছে। মুরীদদের ফেলে রেখে নিজে পালিয়েছে। ওসমানীয় সম্রাজ্যের তালিকায় রয়েছেন, শামীম ওসমানের প্রধান সেনাপতি হিসেবে পরিচিত ও ফতুল্লার গার্মেন্টস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরের অলিখিত চাদাঁবাজির নিয়ন্ত্রণকারী মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। আদালত পাড়াকে কুখ্যিগত করে রাখা আইনজীবি মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, জেলা পরিষদের  সাবেক চেয়ারম্যান বাবু চন্দ শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোশিয়নের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বপন, বর্তমান সভাপতি সেলিম সারোয়ার। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাউফ উল্লাহ বাদল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, ফতুল্লা আওয়ামী লীগ নেতা আবু মো. শরীফুল হক,  মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সেক্রেটারি সাইফ উদ্দিন প্রধান দুলাল, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর,রহমান, চাদাঁবাজ, সিদ্ধিরগঞ্জ  থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইয়াছিন মিয়া। শহর শ্রমিকলীগের সাবেক সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, তার প্রধান সহযোগি সাবেক সেক্রেটারি হসানাত রহমান বিন্দু, জেলা ছাত্রলীগের সাবকে সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাবেক সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম রাফেল। ফতুল্লা থানা যুবলীগের সেক্রেটারি ফাইজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীর হোসেন মীরু, মাসুদ, হোসিয়ারি সমিতির সাবেক সভাপতি নাজমুল আলম সজল, চেম্ব্রা অব কমার্সের সাবেক সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, ডিস ওয়াইফাই ব্যবসাসহ চাদাঁবাজিতে আধিপত্য বিস্তার করা নাসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র আদুল করিম বাবু, সাবেক কাউন্সিলর শাহ জালাল বাদল। শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু।



নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন। এছাড়া আজমেরী ওসমান অনুসারীদের মাঝে সন্ত্রাসী নাসির, কাজী আমির। তারা প্রত্যেকেই তাদের পীর শামীম ওসমানের মুরীদ হয়ে ভুমিদস্যুতা, চাদাঁবাজি, টেন্ডারবাজি,মাদককারবারির সাথে জরিত থেকে অবৈধ ভাবে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর পরই তারাও হত্যা মামলার হুলিয়া হয়ে এখন চোরের মত পালিয়ে বেরাচ্ছে। তাদের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মানুষ অত্যাচার, নির্যাতিত হয়েছে। অনেকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই এদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবী উঠেছে। তাদেরকে যেন কোন ছাড় দেয়া না হয়।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন