
উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতি
নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন ক্রমশই উত্তপ্ত হচ্ছে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এর প্রভাব তৃণমূল পর্যায়ে ঝেঁকে বসেছে। কারণ নির্বাচনের পূর্বে মাঠ দখলে রাখতে বিএনপির একই দলের দু পক্ষের মধ্যে বাঁধছে সংঘর্ষ। অপরদিকে এই উত্তপ্ততায় ঘি ঢালছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ পতিত ওসমান সাম্রাজ্যকে পূর্ণপ্রতিষ্ঠিত করতে শেখ হাসিনাতে আস্থা ওসমানদের ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটাচ্ছেন। অপরদিকে ইসলামীদলগুলো বিভিন্ন সভা সমাবেশ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানের জানান দিচ্ছেন।
সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই দলের মধ্যে প্রতিপক্ষ বলয়ের চলছে সংঘর্ষ। অপরদিকে আসন ভিত্তিক মাঠ দখলে রাখতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে মৌন যুদ্ধ। এরই প্রতিচ্ছবি হিসেবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়। রূপগঞ্জে বিএনপির দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া ও কাজী মনিরুজ্জামান একটি আড়ৎ দখলের বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের দুপক্ষের সমর্থকরা ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন।
অপরদিকে ১৬ই ডিসেম্বের ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁয়ে বিএনপির দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম মান্নান ও রেজাউল করিমের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি না থাকলেও নেতৃত্বে ফিরতে দুটি বলয়ে চলছে ব্যাপক প্রতিযোগীতা।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতেও দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলমান কমিটি ভাঙ্গন গড়ার খেলা। এদিকে নারায়ণগঞ্জে অন্যতম আলোচিত বিষয় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টার সাঁটানো। যেখানে নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত ওসমান পরিবারের ছবি সম্বলিত বিভিন্ন পোস্টার শহরজুড়ে সাঁটানো। এর পরবর্তী ধাপে সিদ্ধিরগঞ্জ আড়াইহাজারে তৎকালীন আওয়ামী নেতাদের ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো হয়। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামীলীগের দলীয় পর্যায় থেকে কর্মসূচি দেয়া হয়েছে এই কর্মসূচিকে ঘিরেও তৎপর হতে চাচ্ছে আওয়ামীলীগ।
তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,বিএনপি,ইসলামীদলগুলো আওয়ামীলীগকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দিতে নারাজ। তাছাড়া আওয়ামীলীগের সকল কর্মসূচি প্রতিহত করতে মাঠে থাকবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,বিএনপি,ইসলামীদলগুলো। এদিকে নারায়ণগঞ্জের ইসলামদলগুলো ধীরে ধীরে তাদের শক্তির জানান দিচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সভা সম্মেলনের মধ্য দিয়েও তাদের শক্তিমত্তা জানান দিতে চাচ্ছে। তারাই প্রতিচ্ছবি হিসেবে সর্বোচ্চ আলোচনায় এখন আগামী ৭ফেব্রুয়ারি জামায়াত ইসলামের বিশাল সমাবেশ নিয়ে চলছে তীব্র আলোচনা।
এই সমাবেশ কেন্দ্র করে জামায়াত তাদের শক্তির জানান দিতে চাচ্ছে। অপরদিকে ইসলামী আন্দোলন ইতিমধ্যেই তাদের দলীয় প্রধান ফয়জুল করীমের উপস্থিতিতে জেলা ও মহানগরের সম্মেলন করেছেন। আজ খেলাফত মজলিস ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে বিশাল কর্মী সম্মেলন করতে যাচ্ছে।