Logo
Logo
×

রাজনীতি

ছাত্রদল ধংসের কারিগর জিকু চান সভাপতি পদ

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

ছাত্রদল ধংসের কারিগর জিকু চান সভাপতি পদ

জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু

Swapno

বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি আসলেই যেন পকেট ভারী হওয়া শুরু করতো জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকুর। যিনি দলের দূসময়ে নিজ সংগঠনের নেতাকর্মীদের থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের মাথা বিক্রি করে প্রতিটি আন্দোলনের কর্মসূচি পালনের নামে মোটা অংকের টাকা তুলে নিজের পকেট বন্দি করতেন এই জিকু। এ ছাড়াও ২০২২ সালের (২৩ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের নেতা নয়নের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফেরার পথে এই জিকু জোর করে দুইজনকে আড়াইহাজারে তার এলাকায় চায়ের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায় তখনই আড়াইহাজার গেলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপরে হামলা চালায় সে সময় জিকু তাদেরকে ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।



এদিকে দফায় দফায় টানা ২ বছর জেলা ছাত্রদলের কমিটির উপরে ভর করে বসে থাকলে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোন প্রকারের ভূমিকা রাখতে পারেনি। এমনকি ইউনিট কমিটি গঠনে ও ব্যর্থতার প্রমান দিয়েছে। বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ। এদিকে ২৮ অক্টোবর থেকে লাপাত্তা ছিলেন জিকু। অপর দিকে জুলাই-আগষ্টের ছাত্র আন্দোলনে একদিন জেলা যুবদল নেতা মশিউর রহমান রনির নেতৃত্বে শহরের ফতুল্লায় ২০ সেকেন্ড দেখা গিয়েছিলো এর বাহিরে আর দেখা যায়নি। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পর থেকেই নিজেকে বড় নেতা জাহির করে আড়াইহাজার এলাকায় লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলবাজির অভিযোগ রয়েছে এই ছাত্রদল নেতা জুবায়ের রহমান জিকুর বিরুদ্ধে।



নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পরে ও কিছুদিন পূর্বে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জে শোডাউন দিতে আসলে তাদের মিছিল হামলা করে ছাত্রদলের আরেক পক্ষের নেতাকর্মীরা। যা নিয়ে কয়েক দফায় দস্তাদস্তি হলে জুবায়ের রহমান জিকু সেখান থেকে কর্মীদের ফালিয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু বর্তমানে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন জিকুকে জেলা ছাত্রদলে একটি স্থানে এনে আড়াইহাজারে তার অবস্থান ভালো রাখতেই মরিয়া হয়ে উঠেছে। এদিকে ইতিমধ্যে বিতর্কিত নেতা জিকু পূণরায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতির পদপ্রার্থী হওয়ায় ফতুল্লা, সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জে ছাত্রদলের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।



সূত্র জানিয়েছে, দলের দূসময়ে বিগত কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ২০২৩ সালে ইফতার পার্টির নামে নারায়ণগঞ্জের হাই প্রোফাইলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ১ লাখ, ২ লাখ করে টাকা তুলে আবার বিভিন্ন বিএনপির মাইন্ডেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে পুলিশের বাধায় ইফতার পার্টি না হওয়ায় পুরো টাকাই নিজেদের পকেট বন্দি করেন তারা। একই সাথে ১০ ডিসেম্বর, ২৮ অক্টোবর, হরতাল-অবরোধ, গত ৫ আগষ্টের পূর্বের আন্দোলন, ৫ আগষ্টের পর ঢাকায় কর্মসূচি, ইউনিট কমিটি গঠনের নামে খসড়া বানিয়ে কমিটি বানিজ্যেসহ কমিটির নেতাকর্মীদের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ ব্যাপক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। আর মূল আর সকল টাকা মেরে দেওয়ার মূল ইন্দন দাতা হিসেবেই ছিলেন, এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু।



এ ছাড়া কমিটি গঠনের দেড় বছরে ও ইউনিট কমিটি গঠনে ব্যর্থতার প্রমান দিয়ে জেলা ছাত্রদল। এর সব কিছুর বাহিরে জেলা ছাত্রদলের সব থেকে বেশি আলোচনা ছিলো কমিটির ৯ জনের মধ্যে অনঐক্য। সভাপতি ও সেক্রেটারী ছাড়া কমিটির বাকি সকলেই ছিলো জেলা ছাত্রদলের আলাদা ব্যানারে। এদিকে ইউনিট কমিটি নিয়ে আলোচনা আসলে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব আবার সেক্রেটারী সভাপতিকে রেখে একাই চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এই জিকুর বিরুদ্ধে। এদিকে গত আওয়ামী লীগের আমলে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর সাথে আতাঁত করে চলতেন এই জিকু। ইতিমধ্যে সেই বাবুর লোকজনদের দিয়েই বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণ করছেন আর সেখান থেকে মোটা অংকের ভাগ তাকে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন এই জিকু। এই জিকুর মতো লোকের কারণে কিছুদিন পূর্বে আড়াইহাজারে আত্মগোপনে ও ছাত্রলীগ তাদের প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালন করতে পারেন। বর্তমানে আগামী নির্বাচন কেন্দ্রিক যোগ্য নেতৃত্ব চাইছেন নেতাকর্মীরা।



ইতিমধ্যে জেলা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগসহ বিভিন্ন ব্যর্থতায় গত (১৭ অক্টোবর) রাতে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এর পর থেকেই আবারো সভাপতির দায়িত্ব পেতে উঠে পরে লেগেছেন এই জিকু যা নিয়ে জেলা ছাত্রদলে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন