
তৈমুর আলম খন্দকার
কখনো বলির পাঠা কখনো মীরজাফর তৈমুর আলমের এত খেতাবের মূলে ছিল ব্যর্থতা। ব্যর্থতার গ্রাস থেকে নিজেকে সমন্বত রাখতে না পারায় ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে শুরু করে সর্বমহলে একের পর এক ব্যর্থতায় ব্যর্থতার পাহাড়ে পরিণত হয়েছেন। সর্বশেষ বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর আওয়ামীলীগের প্রেসক্রিপশনে গঠিত বিএনপি ভাঙার পরিকল্পিত কিংস পার্টির মত দল তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করে মহাসচিবের দায়িত্ব নেন। এছাড়া তৃণমূল বিএনপি থেকে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অংশ নিয়ে শেখ হাসিনার আর্শিবাদে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্নে নির্বাচনে অংশ নিলেও শেষতক আওয়ামীলীগ থেকে আর্শিবাদ না আশায় নারায়ণগঞ্জ-১ আসলে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়ে জামানত হারিয়ে জাতির কাছে হাস্যরসে পরিণত হন। এরপর থেকেই রাজনীতি শুরু করে তার আইনজীবী পেশায় দস নেমে আসে তৈমুরের। সবশেষ তার ছোট ভাই সাব্বির আলম হত্যায় জাকির খানকে এই হত্যা মামলার আসামীর পর দীর্ঘ কয়েকবছর গ্রেফতার হলে এই মামলার বিচার কার্যে জাকির খানকে তার ভাইয়ের খুনী হিসেবে অখ্যা দিয়ে এই বিচার কার্যের প্রথম দিকে তৈমুর আলম বেশ দাপট দেখালেও তার ব্যর্থতার পাহাড়ে পরবর্তীতে বিচার কার্যে কোন প্রকার হস্তক্ষেপই করতে পারেনি তৈমুর। এরমধ্যেই গতকাল সাব্বির আলম হত্যা মামলায় জাকির খানকে নির্দোষ হিসেবে বেকসুর খালাশ দেন আদালত।
সূত্র মতে, ২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে তৈমুর আলম খন্দকার দলীয় নির্দেশে মেয়র প্রার্থীতা থেকে নির্বাচনের কয়েক ঘন্টা আগে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের মাধ্যমে বলির পাঁঠা হিসেবে খেতাব পান তৈমুর আলম। এর পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং জেলা বিএনপিতে একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার মত পদ তুলে দেয়া হয়। তারপরও নানা প্রলোভনে ২০২২ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও বিএনপির সিদ্ধান্তকে প্রধান্য না দিয়ে হাতি প্রতীকে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের ইশরায় প্রার্থী হয়েছেন এমন তকমা নিয়ে নির্বাচন করেন শেষতক নির্বাচনের কয়েকদিন আগে শামীম ওসমান তার অবস্থান পরিষ্কার করলে তৈমুর আলম খন্দকার ২০২২ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়ে হোঁচট খান। এরপরই বিএনপি থেকে বহিষ্কার হন তৈমুর আলম খন্দকার। তারপরও বিএনপির ব্যানারে রাজনীতি করলেও ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তৈমুর আলমের ছোট ভাই সাব্বির আলম হত্যা মামলার আসামী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে গ্রেফতার হলে তৈমুর আলমের রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ তৈরী হয়।
জাকির খান বিচার কার্যের আদালতের সম্মুখীন করা হলে তিনি বেশ বড় গলায় ছোট ভাই সাব্বির আলম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী হিসেবে জাকির খানকে অখ্যায়িত করেন। এরমধ্যেই হঠাৎ আওয়ামীলীগের প্রেসক্রিপশনে বিএনপি ভাঙার পরিকল্পিত কিংস পার্টির মত দল তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করে মহাসচিব পদে দায়িত্ব নেন এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অংশ নিয়ে শেখ হাসিনার আর্শিবাদে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্নে নির্বাচনে অংশ নেন। সেসময় সরকারের সাথে তার ব্যাপক সখ্যতা থাকায় জাকির খানের বিচার কার্যে দাপট দেখানোর চেষ্টা করে। এরমধ্যেই আওয়ামীলীগ থেকে আর্শিবাদপুষ্ট না হয়ে ফের ব্যর্থতার অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়ে জামানত হারিয়ে জাতির কাছে হাস্যরশে পরিণত হন। এরপর থেকেই জাকির খানের বিচার কার্যে বা তার ছোট ভাই সাব্বির আলমের হত্যার বিচারের দাবিতে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ট করতে পারেনি তৈমুর। এরপরই রাজনীতি এবং তার আইনজীবী পেশা থেকে আত্মগোপনে চলে যান। ফের বিএনপির সুবাতাসের ঘ্রাণে বিএনপিতে প্রবেশের নানা চেষ্টা চলমান রাখলেও এরমধ্যেই গতকাল ৭ই জানুয়ারি সাব্বির আলমের হত্যা মামলা থেকে নির্দোষ হিসেবে জাকির খানকে বেকসুর খালাশ দেন আদালত। এরমধ্য দিয়ে তৈমুর আলম ব্যর্থতার পাহাড়ে দীর্ঘ হিসেবে পরিণত হয়। কারণ তৈমুর আলম দাবি করেছিলেন সাব্বির আলম হত্যাকান্ডে অন্যতম আসামী জাকির খান এবং আদালতের মাধ্যমে বিচারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু তার এই প্রত্যাশা থেকে বহু আগেই তার একের পর এক ব্যর্থতায় ছিঁটকে পড়লেও শেষতক জাকির খান বেকসুর খালাশ পাওয়ায় তার প্রত্যাশা থেকে চিরতরে হোঁচট খান। এছাড়া জাকির খানের মুক্তির পর তৈমুরের রাজনৈতিক জীবনেও শেষ পেরেক হিসেবে বিভেচনা করা যাচ্ছে।