৩১ দফার জনসম্পৃক্ততা নিয়ে ব্যস্ত মহানগর বিএনপি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু
গণহত্যাকারী ও তার দোসরদের সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত ও রাষ্ট্রমেরামতে ৩১ দফাকে জনসম্পৃক্ততায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি লাগাতার কর্মসূচিতে শহর বন্দরের রাজপথ নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে রয়েছে। প্রতিদিন সদর-বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় কখনো লিফলেট বিতরণ আবার কখনো সভা-সমাবেশ করে রাষ্ট্রমেরামতে বিএনপির দেয়া ৩১ দফা বাস্তবায়নে মাঠে তৎপর রয়েছে মহানগর বিএনপি। অপরদিকে টানা ১৬ বছর শাসন শোষন করা দল আওয়ামী লীগ রাজপথের মাঠ ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে। এমনকি তাদের দীর্ঘদিনের সঙ্গি জাতীয় পার্টির কোন দেখা নেই। দাপুটে থাকা দল দুটি এখন যেন উধাও হয়ে গেছে। অথচ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ প্রশাসনের ভয়ে ৫ মাস আগেও বিএনপি ঠিকমত মাঠে নামতে পারেন নাই। এখন দাপুটে রাজপথে নেমে মাঠ দাবরিয়ে বেরাচ্ছে। মাঠে নেমে মানুষের সাথে নিজেদের দলীয় দেয়া ৩১ দফা কেন বাস্তবায়ন করা দরকার তার জন্য জনগণকে সম্পৃক্ততা করছেন।
এদিকে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে রাষ্ট্রমেরামতের জন্য বিএনপির দেয়া ৩১ দফাকে জনসম্পৃক্ততা করার জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি মাঠে নেমে তাদের আওতাধীন ইউনিটে প্রতিদিন সভা সমাবেশ করে যাচ্ছে। আবার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন। গত ২৩ ডিসেম্বর সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন থেকে ৩১ দফাকে সর্বস্তরের মানুষের সাথে জনসম্পৃক্ততা করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। সেই যাত্র এখনো পর্যন্ত মহানগর বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পাড়া মহল্লায় কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারা বাহিকতায় গতকালও বন্দরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীরা রাষ্ট্র মেরামতকে গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির ৩১ দফাকে মানুষের কাছে জনসম্পৃক্ত করে তুলছেন।
দলীয় সুত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি রাষ্ট্রমেরামতকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত মাঠে নেমে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সাথে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলছেন। ওয়ার্ড ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও ৩১ দফাকে জনসম্পৃক্ত করতে মানুষের কাছে যাচ্ছে। সেই সাথে তাদের দেয়া সংস্কারের দাবী যে আগেই তুলেছেন তা নিয়ে মানুষের সাথে কথা বলছেন ।
লাগাতার কর্মসূচি প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘আজকের যে সংস্কার, সংস্কার আপনারা করছেন এই সংস্কার বিএনপি পূর্ব থেকে করে আসছে। ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব তখন বাকশাল কায়েম করে এদেশে একতন্ত্র চালু করেছিলেন । আর ১৯৭৫ সালে সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সংস্কার করে বাকশাল বাতিল করে বহুদলীয় রাজনীতি চালু করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পর ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সংস্কার করলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এরপর ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠমোর মাধ্যমে আবারও দেশকে সংস্কার শুরু করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর ২০২৪ সালে এসে এই অন্তবর্তী সরকার বলেন যে তারা সংস্কার করবেন। এই সংস্কার তো আরও এক বছর আগেই আমাদের দল থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এড. সাখাওয়াত বলেন, এদেশকে গত ১৫ বছরে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসররা স্বৈরাতন্ত্র করে রেখেছিল। দুর্নীতি ও দলীয়করণ এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এদেশের শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। যার কারনে বাংলাদেশের অবস্থা বিশ্বের কাছে তলানীত হয়ে পৌঁছেছিল। এছাড়া গত ১৫ বছর কিন্তু এদেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে নাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর মাধ্যমে বলেছেন জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা বাংলাদেশে প্রণয়ন করবে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.আবু আল হাসান টিপু যুগের চিন্তাকে বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে যেমনি মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না ঠিক একইভাবে সংবাদপত্রে স্বাধীনতা ছিল না। পুলিশ, বিডিআর, রেপ, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজনকে তাদের দলীয়করণ করে দলীয় নেতাকর্মীদের মতন ব্যবহার করেছিলেন। আমরা আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিগত ১৬ টি বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। রাজপথ আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে এমন কোন বিএনপির নেতা কর্মী নাই যে হামলা মামলা জেল নির্যাতনের শিকার হয় নাই। কথা বলতে গেলে আমাদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে ।
তিনি আরও বলেন, আয়না ঘরের মতন অন্ধকার অরণ্য তৈরি করে বছরের পর বছর নেতাকর্মীদেরকে গুম করে রাখা হয়েছিল। তারেক রহমানের আহবানে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের মাধ্যমে আমরা এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাবো। সেই সাথে এই দেশকে সমৃদ্ধিশালী করে তুলবো।