বিএনপির মান্নানের আশকারায় লাগামছাড়া আতাউর
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
বিএনপির মান্নানের আশকারায় লাগামছাড়া আতাউর
সোনারগাঁয়ের অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা এবং সোনারগাঁয়ের শহরতলী বলা চলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকাকে চাঁদাবাজির এক মহোৎসব গড়ে তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম মান্নানের আস্থাভাজন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। বর্তমানে মোগরাপাড়া এলাকাটি আতাউরের নেতৃত্বে হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজদের আঁতুড়ঘর।
যার কারণে চাঁদা সংক্রান্ত বিষয়ে ৫ই আগষ্টের পর সর্বপ্রথম সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হন আতাউর। সম্প্রতি আতাউরের নিয়ন্ত্রিত ফুটপাতের দোকান বসানো নিয়ে ব্যবয়ায়ীকে ডেকে নিয়ে বাকবিতণ্ডা অকথ্য ভাষা গালামন্দ করে মারধর করে ফের সমালোচনায় ভাসছেন আতাউর। মূলত, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম মান্নানের শেল্টারে হিংস্্র হয়ে উঠেছেন আতাউর। যার ফলে কোন প্রকার অপকর্ম করতে দ্বিধাবোধ করেন না এবং অন্যায় অপকর্মের প্রমাণাদিকে এআইয়ের কারসাজি বলে উড়িয়ে দেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে, সোনারগাঁয়ে চাঁদা না দেওয়ায় আল আমিন কবিরের নামে এক সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে। মোগরাপাড়া এলাকায় আলোচিত রয়েছে মোগরাপাড়া এলাকার ফুটপাত থেকে শুরু করে মিল ইন্ডাষ্ট্রি এবং অটো,বাস,টেক্রি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে আতাউর এবং তার পরিবারের পুত্র ভাই ভাতিজাদের বিরুদ্ধে।
এছাড়া মাদক, চুরি, ছিনতাইয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে তার পরিবারিক সদস্যদের বিরুদ্ধে যার নেপথ্যে আতাউর। এছাড়া ৫ই আগষ্টের পর আতাউর নেতৃত্বে ওরা ৭জন একটি চাঁদাবাজির বৃহৎ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর কর্তৃক গ্রেফতার হন আতাউর। সম্প্রতি মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্টেশনে সাংবাদিক আল আমিনের একটি ঘড়ি-চশমার দোকান রয়েছে। সেই দোকানে পাশেই আতাউরের পছন্দের ব্যক্তিকে দোকান বসানোর অনুমতি দেয় অজ্ঞাত এক মার্কেট মালিকের আত্মীয় বলে। এ বিষয়ে আল আমিন বিরোধীতা করায় আতাউর তার অফিসে ডেকে নিয়ে গালাগালি ও মারধর করে।
পরবর্তীতে মুহুর্তেই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আতাউরের পক্ষে তার সমর্থকরা এআই কারসাজি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। এদিকে উক্ত ঘটনার ভুক্তভোগী আল আমিনকে হুমকি ধামকি দিলে ভুক্তভোগী আল আমিনও এআই এর কারসাজি বলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে অভিযুক্ত আতাউরের সাথে একাধিকবার দৈনিক যুগের চিন্তার প্রতিবেদক মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন কলটি রিসিভ করেনি।


