নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাবেক যুবদল নেতা ক্রসফায়ারে নিহত মমিন উল্লাহ ডেভিডের ভাগিনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন রানা পট পরিবর্তনের পর শহরের পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। যাকে ঘিরে চাঁদাবাজির উৎস হিসেবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন কয়েকটি সংগঠন। এদিকে সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর লাগামহীনভাবে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বয়ক শাখাওয়াত হোসেন রানার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুট, ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ ও পরিবহন সেক্টর দখল সহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। এদিকে পরিবহন সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নিতে শ্রমিক ইউনিয়নসহ জেলা বাস মিনিবাস দূর পাল্লা পরিবহন মালিক সমিতিতে তার মামা মাহবুব উল্লাহ  তপনকে সভাপতি ও আওয়ামী লীগের দোসর রওশন আলীকে চাঁদাবাজির করার দায়িত্ব দিতে করেছেন সাধারণ সম্পাদক, একই সাথে নিজে বনে গেছেন বাধন পরিবহন লিমিটেডের চেয়ারম্যান একই সাথে আনন্দ ট্রান্সপোর্ট এর কার্যকারী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন মোস্তফা কামালকে।

এ ছাড়া বন্ধু পরিবহন, বন্ধন পরিবহনের ৫০% সবই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রানার নিয়ন্ত্রণে। এদিকে বিভিন্ন মুখে মুখে আলোচনা শোনা যাচ্ছে শাখাওয়াত হোসেন রানার মামা ছিলেন শহরের অন্যতম সন্ত্রাসীদের একজন। যাকে ঘিরে বৈধ-অবৈধ বহু অস্ত্র ছিলো তার মামা ডেবিটের যা বর্তমানে রানার নিয়ন্ত্রণে আছে বলছে সূত্র। তা ছাড়া ভুক্তভোগী কয়েকজন বলেন যে, পট পরিবর্তনের পর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই রানা। কথায় কথায় গুলি করার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে নিজ দলসহ বিভিন্ন দলীয় নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের। যা নিয়ে বর্তমানে রানা আতঙ্কে ভুগছেন অনেকেই। বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের এই শাখাওয়াত হোসেন রানা বিভিন্ন কাউন্টার দখল করে চাঁদাবাজিসহ বাইতুল আমানের পিছেন থাকা বহু দোকানসহ বিভিন্ন স্ট্যান্ড নিজ দখলে এনে নগরীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। বর্তমানে কিছুদিন পূর্বে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শওকতের কাছ থেকে মোৗমিতা ও দূপাল্লা বাসের স্ট্যান্ড থেকে মাসে দুই লাখ চাঁদা দাবি করেন।

সেই আলোকে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শওকত যুগের চিন্তাকে বলেন, আমরা যখন এই কমিটির দায়িত্ব পেয়েছি সে সময় বিগত দিনে এই অঞ্চলে আজমেরী ওসমানের টাকা তুলে দেওয়া পরিবহন নেতা রওশন জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা তুললে আমরা খবর পেতে পেতে সেই টাকা রওনকে পিস্তল ঠেকিয়ে নিয়ে যায় মহানগর বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা, ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরকত উল্লাহ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোেেসন রানা খেয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে আমরা সে টাকা উঠানো বন্ধ রাখি। কারণ বর্তমানে দেশে কোথায় কোন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদা উঠে না। সেই আলোকে আমরা আমাদের খানপুরকে গড়তে চাইলে সেই বিগত আজমেরী ওসমানের মতোই চাঁদাবাজি করতে উঠে পড়ে লেগেছে ডেবিটের সেই সন্ত্রাসী ভাগিনা রানা। গতকাল থেকে নানাভাবে বাস বন্ধের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আর বলছেন বাস মিশনপাড়া দিয়ে আসলে গুলি করে বাকলা উড়িয়ে দিবো।

তিনি বলেন, কিন্তু আমরা তার কথায় কোন কর্ণপাত না করায় আজকে রান ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে খানপুর এসে পৌরসভা মার্কেটের নিচে এসে গালাগালাজ করেন তা ছাড়া এখানে বাস রাখা যাবে না। মৌমিতা বাস এই রোড চলতে দিবো না বলে হুমিক দিয়ে চলে যায় মিশন পাড়ায়। আর সেখানে তার লোকজনদের দিয়ে মৌমিতা বাস এই রোডে চলাচল পুরো দমে বন্ধ করে দেয়। বাস চাষাড়া ঘুরে মিশনপাড়া আসলেই হাতে লাঠি-সোটা থাকা রানার বাহিনী বাসগুলো ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করাতেই আজকে সারাদিন বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে পুরো চাষাড়া নিয়ন্ত্রণ করেন এই সন্ত্রাসী রানা। বন্ধু পরিবহন, বাঁধন পরিবহন, আনন্দ পরিবহন সবই বর্তমানে তার নিয়ন্ত্রণে এখন আবার এই খানপুরে এসেছে চাঁদাবাজি করতে যা হতে দিবে না সাধারণ জনগণ।
এদিকে, ২২ সেপ্টম্বর নারায়ণগঞ্জে বন্ধন পরিবহন দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলে প্রায় ৬ ঘন্টা। যেখানে এক গ্রুপ মহানগর বিএনপির সদস্য তপন যিনি র‌্যাবের হাতে ক্রশফায়ারে নিহত শহর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মমিনুল্লাহ ডেবিটের আপন ভাই, তার সাথে রয়েছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা যিনি প্রয়াত ডেবিটের ভাগিনা। রাজনৈতিক পাড়ায় সবাই যিনি ভাগিনা রানা নামেই সকলের কাছে পরিচিত। তাদের নেতৃত্বেই প্রকাশে গুলি চালাতে দেখা গেছে তেল রাসেলকে।