
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন রানা
নগরীর খানপুর মেট্রোহলের বাস স্ট্যান্ডের দূরপাল্লা ও মৌমিতা বাস থেকে চাঁদা হিসেবে মাসে ২ লাখ টাকা উঠিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত নং ঢা-৩৮১০। এর সকল সদস্যদের হুমকি-দমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন রানার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মিশনপাড়া ও মেট্রোহলের আশেপাশে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন এই রানা। তিনি সর্বক্ষেত্রেই কথায় কথায় গুলি করে খোকলা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে গতকাল (০৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বাস-মিনিবাস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা বাস থেকে রানাকে মাসিক ২ লাখ টাকা চাঁদা না উঠিয়ে দিতে অস্বীকার করলে দুপুর থেকে দল-বল দিয়ে লাঠি-সোটা হাতে মিশনপাড়া মৌমিতাসহ সকল প্রকারের থেকে বাস ঘুরিয়ে দেন। যাকে ঘিরে শহরের চাষাড়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। যে বাসগুলো মেট্রোহলের সামনে স্ট্রে করা হতো আজকে দুপুরের পর থেকেই সেই বাসগুলো চাষাড়ার বিভিন্ন জায়গায় ছিটিয়ে থাকায় জনসাধারণে ব্যাপক বিগ্ন ঘটে।
এ বিষয়ে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শওকত যুগের চিন্তাকে বলেন, আমরা যখন এই কমিটির দায়িত্ব পেয়েছি সে সময় বিগত দিনে এই অঞ্চলে আজমেরী ওসমানের টাকা তুলে দেওয়া পরিবহন নেতা রওশন জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা তুললে আমরা খবর পেতে পেতে সেই টাকা রওনকে পিস্তল ঠেকিয়ে নিয়ে যায় মহানগর বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা, ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরকত উল্লাহ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসে রানা খেয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে আমরা সে টাকা উঠানো বন্ধ রাখি। কারণ বর্তমানে দেশে কোথায় কোন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে চাঁদা উঠে না। সেই আলোকে আমরা আমাদের খানপুরকে গড়তে চাইলে সেই বিগত আজমেরী ওসমানের মতোই চাঁদাবাজি করতে উঠে পড়ে লেগেছে ডেবিটের সেই সন্ত্রাসী ভাগিনা রানা। গতকাল থেকে নানাভাবে বাস বন্ধের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আর বলছেন বাস মিশনপাড়া দিয়ে আসলে গুলি করে বাকলা উড়িয়ে দিবো।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা তার কথায় কোন কর্ণপাত না করায় আজকে রান ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে খানপুর এসে পৌরসভা মার্কেটের নিচে এসে গালাগালাজ করেন তা ছাড়া এখানে বাস রাখা যাবে না। মৌমিতা বাস এই রোড চলতে দিবো না বলে হুমিক দিয়ে চলে যায় মিশন পাড়ায়। আর সেখানে তার লোকজনদের দিয়ে মৌমিতা বাস এই রোডে চলাচল পুরো দমে বন্ধ করে দেয়। বাস চাষাড়া ঘুরে মিশনপাড়া আসলেই হাতে লাঠি-সোটা থাকা রানার বাহিনী বাসগুলো ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করাতেই আজকে সারাদিন বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে পুরো চাষাড়া নিয়ন্ত্রণ করেন এই সন্ত্রাসী রানা। বন্ধু পরিবহন, বাঁধন পরিবহন, আনন্দ পরিবহন সবই বর্তমানে তার নিয়ন্ত্রণে এখন আবার এই খানপুরে এসেছে চাঁদাবাজি করতে যা হতে দিবে না সাধারণ জনগণ।