নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির মানববন্ধনে বক্তারা
চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাক বাংলো সরাতে এক মাসের আল্টিমেটাম

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি
দুইপাশে রাস্তা প্রশস্ত থাকলেও চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এসে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক ফানেলের মতো সরু হয়ে গেছে পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাক বাংলোর কারনে। তাই নগরীর চাষাড়া মোড়ে প্রতিদিন প্রচণ্ড যানজট লেগে থাকছে। সমস্যা সমাধানে এই দুইটি স্থাপনা সরাতে এক মাসের আল্টিমেটাম বেঁধে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এডভোকেট এবি সিদ্দিক।
এসময় সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, এই পুলিশ ফাঁড়ি ও ডাক বাংলো অপসারণের দাবি আমরা অনেক বছর ধরে করে আসছি। আমরা প্রথম যখন এই দাবি উপস্থাপন করি তখন আমাদের এই দাবির সাথে ঐক্য প্রকাশ করেছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাই ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। যারা পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন। কিন্তু জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পরে তাদের বারবার বলেও আমরা এই দুইটি স্থাপনা সরাতে পারিনি। এখন আওয়ামীলীগ নেই। কিন্তু তারপরেও জেলা পুলিশ ও জেলা পরিষদের এই দুইটি স্থাপনা সরাতে আমরা একই ধরনের অনিহা দেখছি।
নারায়ণগঞ্জের যতো ভূমি রয়েছে তার শতভাগ মালিক নারায়ণগঞ্জের মানুষেরা। জনগণের স্বার্থে এই ভূমি ব্যবহার করতে হবে। ব্যাক্তিগত লাভালাভের জন্য ব্যবহার করা যাবেনা। আমরা হাসপাতাল করি, স্কুল-কলেজ করি, পার্ক করি-এটি নারায়ণগঞ্জের নাগরিকের প্রয়োজনে। কিন্তু কি প্রয়োজনে এই ডাক বাংলো এবং পুলিশ ফাঁড়ি আমরা সেটি দেখি না।
আমরা নারায়ণগঞ্জবাসির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, এক সময় ডাক বাংলোর প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু এটি সরানোর জন্যই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কমপ্লেক্সের ভেতরে সার্কিট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। এরপরেও কেন এটি সরানো হচ্ছেনা ?
সভায় অন্য বক্তারা বলেন, আপনি আজকে আছেন কালকে নেই। কিন্তু আমরা, আমাদের বাবা-দাদারা এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এখানে ছিল আছে এবং থাকবে। এই পুলিশ ফাঁড়ি এবং ডাক বাংলো'র প্রয়োজনীয়তা আমরা দেখিনা এটিকে দ্রুত অপসারণ করুন। নারায়ণগঞ্জের মানুষকে এভাবে দুর্ভোগে রেখে এরকম দখলদারিত্ব নারায়ণগঞ্জের মানুষ আর মানবে না। এই রাইফেল ক্লাব, বাইতুল আমান মানুষের কি প্রয়োজনে আসছে তা ভেবে দেখা দরকার। এই রাইফেল ক্লাব শামীম ওসমানের খুন-খারাবিতে ব্যবহৃত হয়েছে। আমরা এগুলো দ্রুত অপসারণের দাবি জানাই।
জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহিদুল হক দীপু, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক শরীফ উদ্দিন সবুজ, সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লব, সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ^াস, নাসির উদ্দিন মন্টু, নারী নেত্রী পপি রানী সরকার, শিক্ষিকা উম্মে লায়লা, কুতুব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।